Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ তদন্তের দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ নভেম্বর ২০২২ ১২:৪৪

ঢাকা: জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে দলীয় মনোনয়ন বাণিজ্য করে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগটি দুদককে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন রওশনপন্থী জাতীয় পার্টির দফতর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী। অন্যথায় তিনি দুদুকের বিরুদ্ধে আবারও আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. ইদ্রিস আলী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মাদ (জিএম) কাদেরের বিরুদ্ধে নারী এমপি পদের মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্তের আবেদন করেছিলেন দুদকে। কিন্তু দুদক এ বিষয়ে তদন্ত শুরু না করায় দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন আবেদনকারী মো. ইদ্রিস আলী।

আইনি নোটিশ পাওয়ার পরেও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মাদ কাদেরের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্য পদের মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। তারা এ বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেন।

ইতিমধ্যে এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ও প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ৬ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়, রিট আবেদনটির শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না। বিবাদীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আদালতে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে আবেদনটি নিষ্পত্তি করা হলো।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে দলীয় মনোনয়ন বাণিজ্য করে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে তা তদন্ত করার জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদুক) আবেদন করেন জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টির ৪ (চার) জন নারী সংসদ সদস্যের মনোনয়ন কার্যক্রমে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা উৎকোচ নেন জি এম কাদের। উৎকোচের বিনিময়ে ওই চার নারীকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

মসিউর রহমান রাঙ্গার মাধ্যমে মনোনীত নারী সংসদ সদস্যদের সঙ্গে জাতীয় সংসদের আসনে মনোনীত করার অঙ্গীকার ও অর্থ দেওয়ার শর্তে চুক্তিপত্র সম্পাদন হয়। এ বিষয়ে একজন নারী সংসদ সদস্যের চুক্তি হয়, যা এরইমধ্যে মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে। এছাড়া তিন জন সদস্য থেকে কমপক্ষে প্রতিজনে পাঁচ কোটি করে মোট ১৫ কোটি টাকা এবং প্রয়াত অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীর কাছ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে জি এম কাদের গ্রহণ করেছেন, যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, দলীয় পদ-পদবি ব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মুত্যুর পর মসিউর রহমান রাঙ্গাকে ব্যবহার করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট একটি নামসর্বস্ব প্যাডে এরশাদ সাহেবের দস্তখত তৈরি করেছেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

অবৈধ অর্থ আদায় জি এম কাদের

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫ দোকান
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৪

আরো

সম্পর্কিত খবর