‘দেশে আইনের শাসনের প্রমাণ যুদ্ধাপরাধসহ বিভিন্ন হত্যার বিচার’
৩ নভেম্বর ২০২২ ২৩:২৭
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুহত্যা, জেলহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার করায় প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন আছে। আর এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা সম্ভব হয়েছে বলেই দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারীন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যাকারী মোস্তাক-জিয়াউর রহমান। এরাই কিন্তু জেলহত্যা ঘটিয়েছে। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর অনেক সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়টাকে তারা নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। এ কারণে জাতির পিতার অনুপস্থিতিতে যারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন তাদের হত্যা করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে। এরশাদও একই কাজ করল। খুনি ফারুককে রাজনৈতিক দল করতে দিয়ে তাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করেছিল। ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম বড় বড় কথা বলেন। সেও খুনিদের নিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমরা বঙ্গবন্ধুহত্যা, জেলহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পেরেছি। এখনও বঙ্গবন্ধুর কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে। আমাদের প্রচেষ্টা আছে তাদের ফিরিয়ে আনার। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা না আমেরিকা, না কানাডা, না পাকিস্তানের সহযোগিতা পাচ্ছি। অথচ আজ আমাদের মানবাধিকারের বড় বড় কথা শুনতে হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তবে এইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা করেছি। এতে প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন আছে, যা অতীতে ছিল না। বিচাররের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে অভিশাপমুক্ত করতে পরেছি। এইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে যদি আমরা সক্ষম না হতাম তাহলে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হতো না।’
জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় আরও অংশ নেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা বেনজীর আহমদ, তানভীর শাকিল জয়, নাহিদ ইজহার, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, মশিউর রহমার রাঙ্গাঁ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম