Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, চিন্তা পরের বছর নিয়ে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ নভেম্বর ২০২২ ২৩:৪২

নসরুল হামিদ, ফাইল ছবি

ঢাকা: জ্বালানি সংকটের কারণে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহে যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে তা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, চলতি মাসে বিদ্যুতের চাহিদা খানিকটা কমেছে। যে কারণে লোডশেড কম হয়েছে। হয়তো নভেম্বরের শেষ দিকে লোডশেডিং আরও কমে আসবে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট দেখা দেওয়ায় আমাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। সংকট যদি আরও বেড়ে যায়, সে চিন্তা থেকেই আমরা বিদ্যুৎ সাশ্রয় শুরু করেছিলাম। আশা করছি, এই নভেম্বর থেকে লোডশেডিং আরও কমতে থাকবে।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আগামী বছর কীভাবে সামাল দেব এখন আমরা সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করছি। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নিয়ে চিন্তা করছি। খারাপকে তো ফেইস করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি, এর চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি যেন না হয়।’

বাংলাদেশ এখনো ভালো পরিস্থিতিতে আছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসে কিছু সাশ্রয় করছি। জানি সকলের কষ্ট হচ্ছে। এটা আমরা অস্বীকার করছি না। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সব দেশের অবস্থাই একরকম। সবাই একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কে জানতো এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’

জ্বালানি সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘খোলাবাজার থেকে এলএনজি আনতে অতিরিক্ত ব্যয় ১৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু ওই গ্যাস বিক্রি করে পাওয়া যাবে ৫৮ কোটি টাকা। লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে এই পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিকল্প জ্বালানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসতে শুরু করেছে। কয়লার দামও বেড়েছে। আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে ৪৫টি গ্যাসকূপ খনন করা। এতে ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের পুরনো গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদন প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে কমেছে।’

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি ধরে নিই, আগামী কয়েক বছরে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস কমে যাবে, তারপরেও ২০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস থেকে যাবে। আমরা আশাবাদী। আরও দুটি স্ট্রাকচারে পিএসসির অধীনে কাজ চলছে। শেভরনের অধীনে নতুন করে ৬৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা কাজ করছে। এছাড়া আরও কিছু এলাকায় গ্যাস পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ৭ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সংকট মোকাবিলায় অফগ্রিডে থাকা গ্যাস সিএনজিতে রূপান্তর করে তা শিল্প খাতে দেওয়া যায় কিনা সে চিন্তা করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

নসরুল হামিদ বিদ্যু লোডশেডিং

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর