বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মহিলা দলের শোভাযাত্রা

ঢাকা: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা করেছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। বিজয়নগর নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে ফের নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হয় বার্ণাঢ্য এ শোভাযাত্রা।

এতে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, সভা-সমাবেশে যোগ দিতে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছে। সেখানে আমরা কেন সন্ত্রাস করব? সন্ত্রাসী তো তারা (আওয়ামী লীগ)। তাদের একমাত্র পথই হচ্ছে সহিংসতা ও সন্ত্রাস।’

‘আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করার অপচেষ্টা চলছে’- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী দল নয়। লগি-বৈঠা, খুন-গুম, হত্যা, পঙ্গু করে দেওয়ার রেকর্ড এই দলের নেই। এটা আছে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা আওয়ামী লীগের।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কিছু করার নেই বলেই রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এবং দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আগুন সন্ত্রাস চালায়। কারা এসব আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, আমাদের কাছে সব তথ্য–প্রমাণ আছে। এই দেশে যে দিন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, তখন ওইসব আগুন সন্ত্রাসীদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।’

আমির খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ যখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখনই জয়ী হয়েছে। এখন একদিকে বাংলাদেশের মানুষ, অন্যদিকে ফ্যাসিস্ট সরকার। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে রাস্তায় নেমেছে—এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’

‘বিএনপিও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচনে যাবে না। বরং গণ–আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। একে দমন করার শক্তি কারও নেই’- বলেন আমির খসরুল মাহমুদ চৌধুরী।

মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

বিপ্লব ও সংহতি দিবস মহিলা দল শোভাযাত্রা