জিএম কাদেরের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সিদ্ধান্ত ১৬ নভেম্বর
১০ নভেম্বর ২০২২ ২০:৫৬
ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বাতিল হবে, নাকি বহাল থাকবে তা জানা যাবে আগামী ১৬ নভেম্বর।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে নিষেধাজ্ঞা বাতিলের বিষয়ে শুনানি হয়। এ সময় জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। অন্যদিকে, বাদীপক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার আবেদন জানানো হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত নিষেধাজ্ঞা বাতিলের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
জিএম কাদেরের আইনজীবী কলিম উল্যাহ মজুমদার এ তথ্য জানান। গত ৬ অক্টোবর জিএম কাদেরের পক্ষের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম ও কলিম উল্যাহ মজুমদার তার পক্ষে এই আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।
গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা এই মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন। একই আদালতে মশিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জিএম কাদেরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছল ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সি করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন।
এছাড়া, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টিও প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ। তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এআই/পিটিএম