Tuesday 10 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৬:০০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে দেশমাতৃকার সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার জন্য সেনাসদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নগরীর হালিশহরে সেনাবাহিনীর দ্য ইস্ট বেংগল রেজিমেন্টাল সেন্টারের (ইবিআরসি) ৯টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।

এসময় এডহক ৫১ আর্টিলারি ইউনিটে টাইগার মাল্টিপল লঞ্চ রকেট বা মিসাইল সিস্টেমের (টাইগার এমএলআরএস) তৃতীয় ব্যাটারির সংযোজন এবং নবগঠিত ৪৪ শোরাড মিসাইল রেজিমেন্টের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এতে প্যারেডে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৪৪ শোরাড মিসাইল রেজিমেন্টের মেজর ইফতেখার হাসান।

সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সেনাবাহিনীর বহরে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘নতুন সংযোজিত এমএলআরএস এর তৃতীয় ব্যাটারি এবং শোরাড মিসাইল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আভিযানিক সক্ষমতায় নতুন মাত্র যোগ করেছে। ২০১৯ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক দিকনির্দেশনা, অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় ১২০ কিলোমিটার ও ৭০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম সমরাস্ত্র সংযোজনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। আমি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে আমার ওপর আস্থা এবং সেনাবাহিনীর এই আধুনিকায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘২০২১ সালের ২০ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এমএলআরএসএস এর দুইটি ব্যাটারি অন্তর্ভুক্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় ব্যাটারির অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে রেজিমেন্টটির সক্ষমতা পূর্ণতা পেল। নতুন এই সংযোজন এমন অত্যাধুনিক এক সমরাস্ত্র, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতাকে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা।’

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সক্ষমতার পূর্ণতা অর্জনে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। ৪৪ শোরেড মিসাইল আর্টিলারি রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও একধাপ এগিয়ে গেল। আধুনিক এফএম ৯০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের সমন্বয়ে গঠিত ৪৪ শোরেড মিসাইল আর্টিলারি নিঃসন্দেহে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে দুর্ভেদ্য আকাশ প্রতিরক্ষা প্রদানে এক গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগ করবে।’

সংশ্লিষ্ট রেজিমেন্টের সৈনিকদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, ‘একটি ইউনিটের গঠনপ্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য। আর্টিলারি গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। সমরাস্ত্রে আধুনিকায়নের পাশাপাশি আপনারা নিজেদের যথাযোগ্যভাবে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন, যাতে যুদ্ধক্ষেত্রে সমরাস্ত্রের সর্বোচ্চ ব্যবহারে আপনারা সক্ষম হন। সর্বদা যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, এটা প্রতিটি সেনা সদস্যের নৈতিক দায়িত্ব।’

‘আমি আশা করি আপনারা কঠোর পরিশ্রম, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ এবং দৃঢ় কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে এই আধুনিক সমরাস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ এবং যথাযথ ব্যবহারে সচেষ্ট থাকবেন। আপনারা সততা নিষ্ঠা এবং কর্তব্যবোধের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রয়োজনে সর্বদা নিবেদিত থাকবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশ ও মাতৃকার সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’- বলেন সেনাপ্রধান।

এরপর সেনাপ্রধান চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কাপ্তাই হ্রদে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১০

সিএমপির ১৩ ডিসি ও ২ ওসি পদে রদবদল
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১০

সম্পর্কিত খবর