ফারদিন হত্যা নিয়ে ২ বাহিনীর ভিন্ন মত
১৭ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৪৮
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা নিয়ে দুই বাহিনী ভিন্ন মত দিচ্ছে। র্যাবের দাবি, ফারদিন রাত আড়াইটার দিকে চনপাড়া বস্তিতে ছিলেন। সেখানেই তিনি মাদক ব্যবসায়ী রায়হান গ্যাংয়ের হাতে খুন হয়ে থাকতে পারেন। আর ডিবি পুলিশ বলছে, এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। কারণ, রাত সোয়া ২টার দিকে যাত্রাবাড়ী মোড়ে ফারদিনকে দেখা গিয়েছে। সাদা গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় এক যুবক তাকে একটি লেগুনায় তুলে দেয়। ওই লেগুনায় আরও চারজন ছিল। লেগুনাটি তারাবোর দিকে নিয়ে যায়। ওই লেগুনার চালক ও সহযোগীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে এক অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ফারদিনের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। কোথায় তাকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু পাওয়া যায়নি।’
এর আগে, র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফারদিন রাত আড়াইটার দিকে চনপাড়া বস্তিতে ছিলেন। তাকে ওই বস্তির রায়হান গ্যাং হত্যা করে থাকতে পারে। তারা রায়হান ও তার সহযোগীদের নজরদারিতে রেখেছে।
তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী থেকে লেগুনায় উঠে যাত্রীদের তিনজন বিশ্বরোডে গিয়ে নামেন। একজন তার পরের স্টপেজে নামে। ওই জায়গা থেকে চনপাড়া যেতে অন্তত এক ঘণ্টা লাগার কথা। ফলে রাত আড়াইটার দিকে তার যে চনপাড়ায় উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।’
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, চনপড়ায় একটি গাড়িতে ফারদিনের লাশ একটি প্রাইভেটকারে তুলে ফেলার কথা বলা হচ্ছে, তাও সঠিক নয়। কারণ, রাত সোয়া দুইটার দিকে ফারদিনের অবস্থান যাত্রাবাড়ীতে ছিল। আর ওই গাড়ির মুভমেন্ট ছিল রাত দেড়টার সময়।
ফারদিন গত ৪ নভেম্বর ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন। আর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে তার মরদেহ মেলে। এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় বুশরা নামে একবান্ধবী গ্রেফতার হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি।
আরও পড়ুন:
- ফারদিন হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে র্যাব
- বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর
- ফারদিনের হত্যাকারী টেকনোলজিক্যালি এক্সপার্ট: ডিবি
সারাবাংলা/ইউজে/এনএস