Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাহাজভাঙা শিল্পের পিতল পাচার রোধে হাইকোর্টে রুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ নভেম্বর ২০২২ ১৯:২৬

ঢাকা: জাহাজভাঙা শিল্পের পিতল পাচার প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রত্যেক জাহাজ থেকে কী পরিমাণ পিতল আহরণ করা হয়, তা জানিয়ে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশ শিপ ব্রেকিং এবং শিপ রিসাইক্লিং বোর্ডের মহাপরিচালককে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) এ বিষয়ে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস খান ও নাঈম সরদার।

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব জানান, এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে পিতল পাচার প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রত্যেকটি জাহাজ থেকে প্রাপ্ত পিতলের পরিমাণ নির্ধারণ, জাহাজভাঙা শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জাহাজভাঙা শিল্প কারখানায় ১৮ বছরের নিচের কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান না করা এবং শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। এ ছাড়া শ্রমিকদের জন্য শ্রম আইন ২০০৬ এর ৯৯ ধারা মোতাবেক গ্রুপ বীমা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে- তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিশাল এলাকায় নিয়ে গড়ে উঠেছে জাহাজ ভাঙার শিল্প। বিদেশ থেকে জাহাজ এনে ব্যবসায়ীরা সেটি ভেঙে লোহা, ইস্পাত, পিতল আলাদা করে বিক্রি করেন। এসব কাজে হাজার হাজার শ্রমিক জড়িত। কিন্তু জাহাজ থেকে যে পিতল সংগ্রহ করা হয় দেশে বাজারে এর দাম তুলনামূলক কম। এজন্য এসব পিতল পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়।

হুমায়ুন কবির পল্লব জানান, আমাদের দেশেও বিভিন্ন কাজে প্রচুর পিতল ব্যবহার করা হয়। সেই পিতল আবার বিদেশ থেকে কিনতে হয়। এ ছাড়া পিতল শোধন করার আগে পাচার হয়ে যাওয়ায় কম দামে বিক্রি করা হলেও বেশি দামে কিনতে হয়। তাই এগুলো প্রতিরোধে গত ৩১ অক্টোবর ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেছি।

রিটে শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্ট আটজনকে বিবাদী করা হয়।

এর আগে গত ১৯ জুন বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব একটি আইনি নোটিশ পাঠান। এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর