দেশে খাদ্য মজুত ১৬ লাখ মেট্রিক টন
২৭ নভেম্বর ২০২২ ২১:১২
ঢাকা: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে খাদ্য সংগ্রহ, উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য আমদানির কথা বলেছেন। পাশাপাশি কম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবহার কমিয়ে ব্যয় সংকোচনের পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভা ও সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুই সভাতেই সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিং করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সচিব কমিটির বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় কীভাবে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বর্তমানে ১৬ লাখ মেট্রিক টক খাদ্য মজুত রয়েছে তথ্য জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে খাদ্যের মজুত বাড়ানোর ওপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরও বলেছেন, প্রয়োজন অনুযায়ী বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানির কথা। তিনি বলেছেন কোনো অবস্থাতে যে খাদ্যের মজুত যেন না কমে। ওএমএস, বিশেষ ওএমএস, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি টিসিবি সব সহায়তা কার্যক্রম যেন চালু থাকে। এক কোটি মানুষ যেন পায়।’
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আমাদের করণীয় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক বিধি অনুসরণ, প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা দক্ষতা এগুলো এর সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২৩ সাল কঠিন সময় যাবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চীন পণ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে ফলে সমস্যা হবে। এ সব কারণে আমাদের বুঝে খরচ করতে হবে। যেটি প্রয়োজন সেগুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে আমদানি করা পণ্য জ্বালানি, সার ও খাদ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে। ফেন্সি জিনিষ যেমন কসমেটিকস, আপেল, আঙুর এগুলো না হলেও চলবে। দামি কাপড় চোপড় এর ক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচন করার কথা বলা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ফিজিবিলিটি যেন ঠিকমত হয়। প্রকল্পে যে এখনকার কথা চিন্তা করে বিবেচনা করা হয়। যেভাবে এ বি সি ক্যাটাগরি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে সেটা মেনে চলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদেশি ঋণের মাধ্যমে যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেন ফরেন কারেন্সিতে চাপ না পড়ে। জরুরি দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে সব সচিবদের প্রতি। উন্নয়ন বাজেট ঠিক আছে। যা সংকোচন করা হয়েছে সেটি রেভিনিউ কস্ট কমানো হয়েছে।
কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে উদ্যেগ নিতে বলা হয়েছে। মৎস, সবজির ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদভাবিত জাতে উৎপাদন বাড়াতে হবে। যে সব পতিত জমি রয়েছে তা কৃষি উপযোগী করে তোলা। রেমিটেন্স বাড়াতেও নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি জানান, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয়, আমদানি ইস্যুতে ব্যয় সংকোচন, প্রকল্প বাস্তবায়নে ফিজিবিলিটি স্টাডি ঠিকভাবে করা, কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি, তথ্য-প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আয়, রেমিট্যান্স বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ, জঙ্গি ইস্যুতে সতর্ক থাকা, বাজার দর নিয়ন্ত্রণ, ভূমির ই-রেজিট্রেশন ইস্যু এবং সুশাসনের ওপর জোর দিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
সারাবাংলা/জেআর/একে