Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্যাতনের জবাব জনগণ আন্দোলনেই দেবে: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৩৯

ঢাকা: সরকারের নির্যাতনের জবাব জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমেই দেবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান খানের মরদেহ দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অত্যাচার-নির্যাতনে ইতোমধ্যে চলমান আন্দোলনে আমাদের সাতজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও দুইজন। আর আজকে সাবেক একজন সংসদ সদস্য তাদের নির্যাতনে প্রাণ হারালেন।’

তিনি বলেন, ‘এই অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি- এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শাহজাহান খানের হত্যার উপযুক্ত জবাব দেবে জনগণ।’

গত ৪ নভেম্বর পটুয়াখালী থেকে বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে তেলিখালী এলাকা অতিক্রমকালে সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালালে তিনি গুরুতর আহত হন। আহতাবস্থায় পটুয়াখালীর একটি হাসপাতালে শাহজাহান খানকে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে গত ২২ নভেম্বর তাকে ল্যাবএইডে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তিনি বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে আক্রান্ত হযেছেন এবং তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে সেদিন আহত করা হয়েছিল্। এই আহত হওয়ার পরে তার কিডনি ফেটে যায়। তার সমস্ত শরীরে বিষাক্ত রক্ত আসে। আজকে সকালে তিনি মারা গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘শাহজাহান খানের মৃত্যু আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্য। আজীবন সংগ্রামী, ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা জনগণের কাছে একজন অভিভাবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে, চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি, গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তার পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা প্রকাশ করছি।’

বিএনপি মহাসচিব প্রয়াত শাহজাহান খানের মরদেহের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুজ্জামান শিমুল, আইনজীবী ফোরামের নুরুল ইসলাম জাহিদসহ পটুয়াখালীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শাহজাহান খানের ছেলে শিপলু খান বলেন, ‘গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে বাবা পটুয়াখালী থেকে বরিশাল যাচ্ছিলেন। পটয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের গাবুয়া এলাকা অতিক্রমের সময় বাবার গাড়িতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হামলা চালায়। বাবাকে লাঠি, রড় ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম করে।’

শাহজাহান খানের মৃত্যু সংবাদ শুনার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার বাদ জোহর নয়াপল্টনে জানাজার পর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে সড়ক পথে নিয়ে যাওয়া হবে পটুয়াখালীতে। সেখানে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলা কার্যালয়ের সামনে, ১১টায় দশমিনা উপজেলায়, বাদ জোহর গলাচিপা উপজেলায় এবং শেষ জানাজা বিকাল তিনটায় চিকনিকান্দি ইউনিয়নে হবে। সেখানে মায়ের কবরে তাকে দাফন করা হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর পৃথক পৃথক শোকবার্তায় শাহজাহান খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

বিএনপি মির্জা ফখরুল আলমগীর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর