বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি চায়: মির্জা ফখরুল
৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:০১
রাজশাহী: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছে। রাজনৈতিক কাঠামো হত্যা করেছে। এই দেশের মানুষ মুক্তি চায়।
রাজশাহী মহানগরের ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে (হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিএনপির নাম শুনলে ভয় পায়। তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিতে চায় না। কিন্তু আমরা অতীতে নয়াপল্টনে সমাবেশ করেছি। এবারও নয়াপল্টনে সমাবেশ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে এত মামলা দেওয়া হলো তাও কোনো নেতাকর্মী পালিয়ে নেই। তাও বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামে। মাটি ফুঁড়ে বেড়িয়ে আসে নেতাকর্মীরা। তারা আমাদের প্রতিটা সমাবেশে বাধা দিতে চায় কিন্তু তা সফল হয় না। আমাদের জন্য তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে ৬০০ নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে। এরমধ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে জাকারিয়া পিন্টুসহ নয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২৫ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। এটাই এই সরকারের চরিত্র। এভাবে তারা বিরোধীদলকে নির্মূল করে দিতে চায়। কিন্তু বিএনপি নির্মূল হওয়ার মতো দল না। রাজশাহীর মানুষ সরকারকে ভয় পায় না। রাজশাহীর মানুষ আরও জেগে উঠেছে। এই লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতেই হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে দলীয় নেতাকর্মী হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে এই বিভাগীয় সমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি। রাজশাহীতে এটাই বিএনপির সর্বশেষ বিভাগীয় গণসমাবেশ। এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির সর্বশেষ বিভাগীয় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. এরশাদ আলী ঈসা। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী মিঞা. মিজানুর রহমান মিনুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
সারাবাংলা/একে