Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪ দিনে ১০৩১ নেতাকর্মী গ্রেফতার: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:০৬

ফাইল ছবি

ঢাকা: ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে গত চারদিনে বিএনপির ১ হাজার ৩১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘৩০ নভেম্বর রাত থেকে ৩ ডিসেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত ৭৮৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে চার ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত ২৪৮ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে তারা। সব মিলিয়ে গত চার দিনে কমপক্ষে ১ হাজার ৩১ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ভীষণ অসুস্থ। কয়েকদিন আগে তার চোখের অপারেশন হয়েছে। গতরাতে তার বাসায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালায় এবং তার সহধর্মিনীর বড় ভাই অরাজনৈতিক ব্যক্তি আব্দুর রহমান সোহেলকে গ্রেফতার করে। এ গ্রেফতারের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।’

ফখরুূল জানান, ধানমন্ডি থানা ১৫ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা জাকির, মিঠু ও টুটুল, নিউ মার্কেট থানা ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবুল মনসুর হাওলাদার, ৬৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা মো. শ্যামল ও রানা, কোতয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তাক আহমেদ, সদস্য সচিব জামিল উদ্দিন পাপ্পুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ছাড়া কামরাঙ্গীরচর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জহিরুল হক ও জাহাঙ্গীর আলম, বংশাল থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারেক হোসেন রনি, ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. আজম ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাজু, চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নাঈম, কলাবাগান থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. মুরাদ, জাহাঙ্গীর আলম, শাহীন হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, লালবাগ থানা ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফরিদউদ্দিন রানা, সবুজবাগ থানা ৭৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহিদুর রহমান শহিদ, খিলগাঁও থানার ৭৪নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম টিক্কা, শাহ আলম, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ফয়জুর রহমান ফজু, শ্যামপুর থানা-স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তমিজউদ্দিন রাসেল, যাত্রাবাড়ী থানা-বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন মামুন, ডেমরা থানা-ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. হাজী দুলাল, হাজারীবাগ থানা-স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শিপন মৃধা, মিলন এবং আনোয়ার রাব্বীকে বাসায় না পেয়ে তার ছোট ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ছাড়া শাহজাহানপুর থানা শ্রমিক দল নেতা মো. রুবেল, মো. নুরুল হক নুরুল, আবু বক্কর, কাফরুল থানা ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বজলুর রশিদ বাবলু, পল্লবী থানা বিএনপি নেতা সামসুল ইসলাম সমু, ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নাদিরুজ্জামান টিপু, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি নেতা মো. সালাহউদ্দিন, উত্তর খান থানা বিএনপি নেতা মো. হাসান খান, রামপুরা থানার ৯৮ ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীন, বাড্ডা থানা ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান সীমান্ত, মোহম্মদপুর থানা ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. লোকমান হোসেন জুয়েলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব।

তিনি জানান তেজগাঁও থানা ২৫ ওয়ার্ড বিএনপি দফতর সম্পাদক মাওলানা মো. আশরাফ ও ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. আকরাম, ১৬ নং ওয়ার্ড শ্রমিক নেতা জসিম বেপারী, ৮ নং ওয়ার্ড নেতা মো. আলম, ৪৯ নং ওয়ার্ড নেতা মো. আলমাস উদ্দিনসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল আরও জানান, গতরাতে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকে বাসভবনে ডিবি পুলিশ হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা লৌহজং থানা, পদ্মা থানা, টঙ্গীবাড়ী থানা, শ্রীনগর থানা, সিরাজদিখান থানা, গজারিয়া থানায় দায়ের করা কয়েকশ মামলায় বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ এজেড

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নেতাকর্মী গ্রেফতার পুলিশের অভিযান বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর