Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সালাম আমান রিজভী খোকন এ্যানিসহ আটক ২ শতাধিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৪৪

ঢাকা: পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের পর বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এদের সবাইকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রাত ৮ টায় নয়াপল্টন কার্যালয় ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির কার্যালয় থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

১০ ডিসেম্বর পূর্ব ঘোষিত ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।

পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে বেলা তিনটার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। চারটি প্রিজন ভ্যানে করে এসব নেতাকর্মীকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

সংঘর্ষের পর বিকেল সোয়া চারটার দিকে পুলিশের একটি দল বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে। এরপর সাড়ে চারটার দিকে সেখানে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ সময় ভেতরে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। প্রায় ২০ মিনিট পর তাকে কার্যালয়ে ঢোকার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে তিনি কার্যালয়ে না ঢুকে সামনেই বসে পড়েন।

বিকেল সাড়ে চারটার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান নয়াপল্টনের সামনে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘অনুমতি ছাড়াই আজ পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বার বার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। এক পর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, তখন এই সংঘর্ষ শুরু হলো।’

বিজ্ঞাপন

তবে সব দায় পুলিশ ও সরকারের ওপর চাপিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সমাবেশ বানচাল করার জন্য নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না। ১০ ডিসেম্বর আমরা সমাবেশ করবই।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। এ ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে। আমি আমার দলের নেতাকর্মীসহ সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।’

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

আটক বিএনপি সংঘর্ষ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর