Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নড়াইল মুক্ত দিবস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৫৪

নড়াইল: আজ ১০ ডিসেম্বর, নড়াইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে নড়াইলকে শত্রুমুক্ত করেন বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। দিবসটি পালন উপলক্ষে দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এবং চিত্রা থিয়েটার নড়াইলের আয়োজনে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, র‌্যালী ,মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, বধ্যভূমি, গণকবর ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, এনভায়রনমেন্টাল থিয়েটার (মুক্তিযুদ্ধের মহড়া ) এবং জারি গানের আয়োজন করা হয়েছে।

নড়াইল শহরের রুপগঞ্জ বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গণকবরে পুস্পস্তবক অর্পন শেষে একটি র‌্যালী থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যাল, ৭১ এর বধ্যভূমি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্যা অর্পন শেষে, জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যারী শুরু আগে নড়াইল মুক্ত দিবসের উপর মুক্তিযুদ্ধের এনভায়রনমেন্টাল থিয়েটার অনুষ্ঠিত হয়।

সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোতুর্জার পক্ষে, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ড কাউন্সিল, নড়াইল প্রেসক্লাব, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গণপূর্ত বিভাগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চিত্রা থিয়েটারসহ সরকারি-বেসরকারি দফতর, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, বদ্ধভুমি, গণকবর ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সব অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফকরুল হাসান, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কবির, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবি, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের নানা ঘটনার পর নড়াইলকে হানাদারমুক্ত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন মুক্তিযোদ্ধারা। সে মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধারা ৯ ডিসেম্বর তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেন নড়াইল শহরকে। ১০ ডিসেম্বর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাক ক্যাম্পের ওপর হামলা চালালে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুমূল সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বাগডাঙ্গা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর ও মতিয়ার রহমান শহীদ হন। পরে মুক্তিবাহিনীর হাতে পাকিস্তানি ক্যাম্পের দুই সেন্ট্রি নিহত হলে বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্প অধিনায়ক বেলুচ কালা খান বিপুল অস্ত্রসহ সারেন্ডার করেন। তখন জয় বাংলা শ্লোগানে কম্পিত হয় নড়াইল শহর।

সারাবাংলা/ইআ

নড়াইল মুক্ত দিবস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘তুফান’ আসছে হিন্দি ভাষায়
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৯

সম্পর্কিত খবর