মশার প্রজননক্ষেত্র পেলেই মামলা: মেয়র আতিক
১২ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:২১
ঢাকা: ঢাকার প্রতিটি স্থান কোনো না কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীন উল্লেখ করে সাতদিনের মধ্যে নিজ নিজ এলাকা ও জলাশয় পরিষ্কার করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। সাতদিন পর পরিদর্শন শেষে কোথাও কচুরিপানা বা মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলেই মামলা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেখা হবে না।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে কিউলেক্স মশার প্রকোপ-নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আতিক বলেন, ‘ঢাকা শহরের কোনো জায়গা কিন্তু মালিক ছাড়া নাই। ঢাকার প্রতিটি জায়গা হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের অধীন। অতএব মালিক বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের জায়গা ও জলাশয় পরিষ্কার করতে হবে। আমি সবাইকে সাতদিন সময় দিচ্ছি। সাতদিন পর আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করব। ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাবে। কোথাও কচুরিপানা বা মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেওয়া হবে না। নিয়মিত মামলা দেওয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
অনেকে বাসাবাড়ির ময়লাও দুই ভবনের ফাঁকে ফেলে দেন জানিয়ে কিউলেক্স ও এডিসের প্রকোপ ঠেকাতে সেগুলোও বন্ধ করার আহ্বান জানান ডিএনসিসির মেয়র। যেসব হাউজিং সোসাইটি নিজ উদ্যোগে মশকনিধনের যন্ত্র কিনেছে তাদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
সভায় মেয়র ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগকে সব সংস্থা ও হাউজিং সোসাইটিগুলোর সাথে সমন্বয় করে পহেলা জানুয়ারি থেকে এক বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে একটি ক্যালেন্ডার প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধি এবং ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধিরা।
সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম