নতুন প্রজন্মকে জেগে ওঠার ডাক দিয়ে বিজয় শিখা প্রজ্বলন
১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিজয় শিখা প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। তুমুল স্লোগানে মুখরিত অনুষ্ঠানে তরুণ প্রজন্মের দুই প্রতিনিধির হাতে বিজয় মশাল তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধকালীন নৌ কমান্ডো দলের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত কমডোর এ ডব্লিউ চৌধুরী বীর বিক্রম বীর উত্তম। এসময় নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হে নতুন প্রস্তুত হও, তোমরাই আগামীর বাংলাদেশ।’
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনে বিজয় শিখা চত্বরে মেলার উদ্বোধন হয়। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার প্রতিষ্ঠাতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানুর সন্তান কাজী রাজেশ ইমরানের হাতে বিজয় মশাল তুলে দেন এ ডব্লিউ চৌধুরী। মশালের আগুন টাওয়ারে উঠে স্পর্শ করা মাত্রই বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠে।
এরপর সন্ধ্যায় জিমনেশিয়ামের সামনের প্রাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা পর্ব শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এত ত্যাগ, এত রক্তাঞ্জলি পৃথিবীর আর কোনো জাতি দেয়নি। এমন এক ঘাতক অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করেছি, যাদের কোনো সভ্যতা, মর্যাদা ও সুস্থতা নেই। বর্বরতা, বিকৃতি, পাশবিক দস্যুতা তাদের রক্তের প্রতিটি কণায় মিশে গিয়েছিল। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়েছিল এবং যুদ্ধের মধ্য দিয়ে হানাদারদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছিল।’
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পুলিশ বাহিনী প্রথম মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে পুলিশ বাহিনী সবসময় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। একটি সশস্ত্র সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধ করতে করতেই সশস্ত্র হয়ে উঠেছিল এবং তাদের কাছে হানাদার বাহিনীর আনুষ্ঠানিক পরাজয় স্বীকার করা পৃথিবীর মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে বিরল। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক শক্তির কঠিন দুঃসময়ে এই বিজয় মেলা ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি দিয়েছিল।’
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলমের সভাপতিত্বে ও শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- পরিষদের মহসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, নগর মহিলা লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দীন, উপ পুলিশ কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ ও মোস্তাফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা পাল্টুলাল সাহা এবং মহিউদ্দীন রাশেদ।
এর আগে, ১ ডিসেম্বর থেকে নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের উদ্যোগে পণ্যমেলা শুরু হয়।
সারাবাংলা/আইসি/এনএস