পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে ৩ মাস ধরে নিখোঁজ স্কুলশিক্ষার্থী
১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৫০
নোয়াখালী: জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গত তিন মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে স্কুলশিক্ষার্থী তৈহিদুল ইসলাম তামিম (১৪)। তাকে ফিরে পেতে থানায় জিডি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজ তামিম উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলিম উদ্দিন মুন্সী বাড়ির মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় চৌধুরীহাট বায়তুল সৌরভ কেজি স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তামিমের ফুফু হাছিনা আক্তার লাভলী জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল থেকে তামিম নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় ২৯ সেপ্টেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জিডি নং-১৭২৬।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। এরপর জানতে পারি পাশের হলুদ ব্যাপারী বাড়ির লাতুর ছেলে ব্যাটারি চালিত রিকশাচালক মাসুম (১৭) তামিমকে পদ্মা সেতু দেখার কথা বলে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নেয়। দাদির ব্যবহৃত একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় তামিম। পদ্মা সেতু দেখার উদ্দেশে রিকশা চালক মাসুমের সঙ্গে যায় সে। পরে মাসুম ও তার বাবা মোবাইলটি ফেনীর দাগনভূঞা বাজারে একটি দোকানে বিক্রি করে দেয়।’
লাভলী আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানতে পেরে এলাকাবাসীর সহায়তায় মাসুম ও তার বাবা লাতুকে আটক করা হয়। লাতু তার ছেলে মাসুম আমার ভাতিজা তামিমকে বের করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের চট্রগ্রাম, ভৈরব ও কুমিল্লার লাঙ্গলকোট যায়। এ সময় তারা পিতা-পুত্র একেকবার একেক কথা বলে। একপর্যায়ে লাতু লাঙ্গলকোট উপজেলা থেকে তার ছেলে মাসুমকে কৌশলে ভাগিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে লাতু ও তার ছেলে বর্তমানে পলাতক রয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার লাতু ও তার ছেলে মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান সাধরাণ ডায়েরি (জিডি) নম্বর ও তারিখ জানতে চান। জিডি নম্বর ও তারিখ জানালে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিচ্ছি।’
সারাবাংলা/এনএস