Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সোনাহাট স্থলবন্দরে নেই ইমিগ্রেশন, বাড়ছে না আমদানি-রফতানি

জাহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:০৬

কুড়িগ্রাম: রাজস্ব আয়ের বিপুল সম্ভাবনাময় বন্দর উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর। এই বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও শুধু ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় বাড়ছে না আমদানি-রফতানি। এতে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে বন্দরকেন্দ্রীক দু’দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক। পাশাপাশি সোনাহাট সেতু ও সড়ক মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ না হওয়ায় অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের কার্যক্রম।

ভারতের আসাম, মেঘালয়সহ ‘সেভেন সিস্টার’খ্যাত রাজ্যগুলোর সঙ্গে পণ্য আমদানি ও রফতানির জন্য ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর চালু হয় দেশের ১৮তম সোনাহাট স্থলবন্দর। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০টি পণ্য আমদানি ও বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ পণ্য ছাড়া সব পণ্য রফতানির জন্য তৈরি করা হয়েছে বন্দরের অবকাঠামো। তবে বন্দর চালুর দীর্ঘ সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত শুধু কয়লা ও পাথর আমদানি এবং রফতানি হচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য। এতে প্রতি বছর আয় হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় ব্যবসায়িক সম্পর্ক ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে না আমদানি ও রফতানির পরিমান।

সোনাহাট স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী সাকিল আহমেদ বলেন, ‘বন্দরে অবকাঠামো নির্মাণ হওয়ার পর থেকে আমদানি কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা যারা ব্যবসায়ী রয়েছি। কেন না ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছি না। তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে কয়েকশ কিলোমিটার ঘুরে লালমনিরহাটের বুড়িমারি স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে গিয়ে দেখা করতে হয়। এজন্য আমরা ব্যবসায়ীরা চাই, এই সোনাহাট স্থলবন্দরে দ্রুত ইমিগ্রেশন চালু করা হোক। এতে বন্দরে ব্যবসার পরিধি এবং সরকারের রাজস্বও আরও বাড়বে।’

বিজ্ঞাপন


সোনাহাট বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি বন্দরে ইমিগ্রেশন চালু করা হোক। এতে করে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত রাজ্যগুলোর সঙ্গে উত্তারাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের পথ সহজ হবে। ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করাসহ ব্যবসার পরিধিও আমরা বাড়াতে পারবো।’

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রাকিব আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘বন্দরে ইমিগ্রেশন চালু হলে উত্তারাঞ্চলের মানুষজন খুব সহজে এবং কম খরচে ভারতে যাওয়া-আসা করতে পারবে। ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করতে বন্দরের ব্যবসায়ীদেরও সাড়ে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে না। আমরা চাই সরকার যেন দ্রুত ইমিগ্রেশন চালু করে।’

বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন জানান, সোনাহাট স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চালুর সিদ্ধান্ত হলে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালসহ অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

বন্দরে ইমিগ্রেশন চালুসহ সব সমস্যা সমাধন করা গেলে, ভারত ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভুটানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি হবে এ বন্দরের। এতে রাজস্ব আরও বাড়বে বলে মনে করেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

২০১৩ সালে সোনাহাট স্থলবন্দরের যাত্রা শুরু হলেও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয় ২০১৬ সালে। বন্দরে ৬০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ওয়ারহাউজ, ৯৬ হাজার বর্গফুটের পার্কিং ইয়ার্ড, ৯৫ হাজার বর্গফুটের ওপেন স্টাক ইয়ার্ড, শ্রমিকের জন্য দু’টি বিশ্রামাগার, একটি প্রশাসনিক ভবন ও দ্বিতল ডরমেটরি ভবন রয়েছে।

সারাবাংলা/এমও

আমদানি-রফতানি ইমিগ্রেশন সোনাহাট স্থলবন্দর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর