পাটজাত পণ্যকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা
১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১২
ঢাকা: ২০২৩ সালের বর্ষপণ্য বা ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ উদ্বোধনকালে তিনি এই ঘোষণা দেন।
রোববার মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের পর্দা উঠেছে। নতুন বছরের ১ জানুয়ারি পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে মেলার অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভাপতিত্ব করেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মো. জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে এবার দ্বিতীয়বারের মতো স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এবারের বর্ষপণ্য ঘোষণা দেওয়ার সময় বলেন, ‘পাট আমাদের দেশের সোনালী আঁশ। পাটের চাহিদা কিন্তু কোনোদিন শেষ হবে না। পাটজাত পণ্য পরিবেশবান্ধব। আমরা পাটের জুট জিনোম যেটা, সেটা আবিষ্কার করতে পেরেছি। কাজেই এখান থেকে আমরা অনেক ধরনের পণ্য উৎপাদন করতে পারি। পাটের কিন্তু সবটুকুই কাজে লাগে। পাতা থেকে আশ, পাটখড়ি; সব কিন্তু কাজে লাগে। কাজেই পাটকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।’
সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা, ‘সরকারি পাট ইন্ডাস্ট্রিগুলো আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যারা চাইবেন একটা করে ইন্ডাস্ট্রি নিতে পারেন। সেটা এখন যে ইন্ডাস্ট্রি আছে সেটাও চালু করতে পারেন। আবার সেখানে যে জায়গা আছে সেখানে মর্ডান টেকনোলজিতে বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করতে বাজারজাত করতে পারবেন। সারা বিশ্বে পরিবেশবান্ধব পাট পণ্যের এখন বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সুযোগটা নিতে হবে। সে কারণে এবারের বাণিজ্য মেলায় পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য ঘোষণা দেওয়ার কথা হয়েছে। আমি পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য ২০২৩ ঘোষণা করছি।’
ইপিবি সূত্র জানায়, মেলায় এবারও সাধারণ, প্রিমিয়াম, সংরক্ষিত, ফুড স্টল ও রেস্তোরসহ ১৩ ক্যাটাগরিতে স্টল রয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন।
এবছর ১৭টি প্যাভিলিয়নসহ মোট ৩৩১টি স্টল স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাকে লিজ দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার গেট প্রতিদিন সকাল ১০টায় খোলা হবে এবং বন্ধ হবে রাত ৯টায়। সরকারি ছুটির দিনে মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।
এছাড়া, দর্শনর্থীরা অনলাইনে বুকিং করলেই টিকিটের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
দেশি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, ভারতসহ ১০টি বিদেশি রাষ্ট্রের ১৭টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। এছাড়া গতবার শিশুপার্ক ছিল না, এবার মিনি শিশুপার্ক রয়েছে। ফুডকোর্ট নিচে চলে গেছে, পরিবেশও ভালো হয়েছে। পরিসর বড় হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবারের মেলা আরও বেশি জমজমাট হবে বলে আশা করছেন মেলা সংশ্লিষ্টরা।
সারাবাংলা/এনআর/এমও