চট্টগ্রাম ব্যুরো: বর্ষীয়ান রাজনীতিক সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের ১০ সদস্যকে মোট তিন লাখ টাকা শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১ জানুয়ারি) নগরীর চশমাহিলে প্রয়াত মহিউদ্দিনের বাসভবনে ‘এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের’ পক্ষ থেকে শিক্ষাবৃত্তির টাকা হস্তান্তর করা হয়। মহিউদ্দিনের সন্তান ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পক্ষ থেকে এসময় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ‘শুভেচ্ছা বার্তা’ দেওয়া হয়।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বার্তায় বলেন, ‘আমার বাবা প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের গণমানুষের নেতা ছিলেন। সেজন্য ওনার কুলখানিতে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়। দুঃখজনক এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী হাসিনা চট্টগ্রামে এসে ছিলেন প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শোক জানান এবং অনুদান প্রদান করেছিলেন।’
‘আমি এবং আমার পরিবার দুর্ঘটনায় নিহতদের আমাদের নিজেদের পরিবারের সদস্য বলে মনে করি। আপনাদের সুখে-দুঃখে, যে কোনো প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জীবনাবসান হয়। চারদিন পর কুলখানিতে নগরীর জামালখানে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে মানুষের ভিড়ে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত ১০ জনের প্রত্যেকের পরিবার থেকে একজন করে সদস্যকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। মহিউদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়।
এছাড়া প্রতিবছর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে ৩০ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।