ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসার জন্য বেসরকারি কোনো হাসপাতালে গেলেই তাদের সিজারিয়ান অপারেশন করিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়োজন ছাড়া এটি সরকারি হাসপাতালে হয় না। কারণ সিজারিয়ান অপারেশন হলে তাদের আলাদা কোনো লাভ নেই। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে হলেই অতিরিক্ত সুবিধা।’
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘আরবার হেলথ সার্ভে-২১’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (নিপোর্ট) সেমিনারটির আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলো সবসময় ব্যবসায়িক স্বার্থ লালন করে। সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডেলিভারি করানো হয়। তবে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি আমাদের আরও বাড়াতে হবে। তাহলে শিশু ও মাতৃমৃত্যু কমে যাবে। এক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা সেবাদানের ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে যদি মাঠের সঠিক তথ্য পাই, তাহলে মূল চিত্রটা আমাদের কাছে আসে। কাজের ক্ষেত্রে কতটা পিছিয়ে আছি, কতটুকু সফলতা অর্জন হয়েছে সেটিও জানতে পারি। সবমিলিয়ে আমরা করণীয় ঠিক করতে পারি।’
স্বাস্থ্যখাতে সফলতার চিত্র তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। ভ্যাকসিনে সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। আটটি বিভাগে আটটি নতুন হাসপাতালের কাজ শুরু করেছি। এটিই আমাদের (সরকার) শেষ বছর। যেসব কাজ চলমান আছে, এগুলো সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দক্ষ জনবলের অভাব। প্রয়োজনের তুলনায় জনবল অনেক কম। প্রতি ১০ হাজার মানুষের সেবা দিতে মাত্র ২৩ থেকে ২৪ জন জনবল আছেন, যেখানে অন্যান্য দেশে ৮০ থেকে ৯০ জন করে আছেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিপোর্ট’র মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বাদল।