প্রথম শুক্রবার জমজমাট বাণিজ্যমেলা
৬ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:৫০
ঢাকা: শুরু হওয়ার পর প্রথম শুক্রবারেই জমজমাট ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসর। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকেই আসতে থাকেন দর্শনার্থীরা। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়তে থাকে। মেলা ঘুরে দেখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কেনাকাটাও সারেন তারা।
রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলার দ্বিতীয় আসরে অন্তত ৫০ লাখ গ্রাহক আশা করছেন আয়োজকরা। মেলা শুরু হওয়ার পর আজ প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অন্তত লাখখানেক ক্রেতা দর্শনার্থী আসেন বলে সারাবাংলাকে জানান মেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব (উপসচিব) মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। পর্যাপ্ত জায়গা, পার্কিং সুবিধা ও নিরাপত্তা বিধান করায় মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে মেলায় আসছেন বলে মনে করছেন তিনি।
রূপগঞ্জ থেকে আসা একদল বন্ধু জানান, তারা প্রতিবছর মেলায় আসেন। ঘোরাঘুরি করেন, কেনাকাটা করেন। এখানে এলে দেশ-বিদেশের নানা পণ্য একসঙ্গে এক জায়গায় পাওয়া যায়, এ সুবিধা হাতছাড়া করতে চান না।
সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় গৃহস্থালি পণ্য, জামাকাপড়, গয়নাগাটি ও খাবারের দোকানে। ব্যাগভর্তি করে কিনছেন কাঁচ, সিরামিক, প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি-পাতিল, থালাবাসন ইত্যাদি। অনেকেই আবার ভিড় করছেন বিছানারা চাদর, কার্পেট, শো-পিস ও ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্রের দোকানে। দেশি পণ্য তো বটেই বিদেশি নানা পণ্যের দোকানেও উপচে পড়া ভিড়। এদের মধ্যে ভারতীয়, ইয়ানিয়, তুর্কি, পাকিস্তানি, থাই, জাপানিজ, চাইনিজ ইত্যাদি নানা দেশের স্টলে ভিড় দেখা গেল।
মেলা থেকে কার্পেট, বিছানার চাদর ও ক্রোকারিজ সামগ্রী কেনা প্রসঙ্গে ক্রেতারা বলছেন, এখানে একসঙ্গে এত দেশের এত ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায় তাই সারাবছর অপেক্ষা করে এখান থেকেই কেনাকাটা করেন তারা। রাজধানী ঢাকা থেকে কিছুটা দূরে হলেও তাই ছুটির দিনে নিজস্ব গাড়িতে বা অন্যান্য মাধ্যমে এসব কেনাকাটা সারতে বাণিজ্যমেলাতেই এসেছেন তারা। শুধু বহনযোগ্য পণ্যই নয়, গাজী গ্রুপের প্যাভিলিয়ন যেখানে তুলনামূলক ভারী পণ্য পাওয়া যায় সেখানে রয়েছে প্রি-অর্ডার ও হোম ডেলিভারির সুযোগ। অগ্রীম কিছু টাকা দিয়ে ট্যাংক, পাম্প, টায়ারের মত ভারী জিনিস মেলার স্পেশাল ডিসকাউন্টেও কিনছেন অনেকে।
কেনাকাটার পাশাপাশি মেলায় রয়েছে ঘোরার ও দেখার সুযোগও। এখানে শিশুদের জন্য রয়েছে রাইডের সুব্যাবস্থা। প্রবেশপথেই রয়েছে ঝর্ণা ও বসার জায়গা। ফুলের টব ও আলোকসজ্জায় দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো এসব জায়গায় অনেকেই বিশ্রামের পাশাপাশি ছবি তুলছেন। আবার অনেকেই খোলামেলা জায়গা পেয়ে দলবেঁধে আড্ডাও দিচ্ছেন।
সারাদিন ঘোরাঘুরি করে খাবারের দোকানেও ভিড় করছেন অনেকেই। বিরিয়ানি, খিচুড়ি, বার্গার, পিজ্জা, স্যুপ, চিকেন ফ্রাই, সমুচা, সিঙ্গাড়ার মতো খাবার পাওয়া যাবে এখানে। তবে সবচেয়ে জমজমাট আইসক্রিমের দোকানে। মাসকট ও আকর্ষণীয় মিউজিকে ক্রেতা আকর্ষণ করতে দেখা গেল এসব দোকানে। এছাড়া অনেক দোকানেই মাইকিংয়ের মাধ্যমে পণ্যের দাম ও অন্যান্য গুণাবলী সম্পর্কে বলে ক্রেতা আকর্ষণ করতেও দেখা গেল।
এবার বাণিজ্যমেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ‘স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে ভেতরে ও বাইরে মিলিয়ে মোট স্টল ও প্যাভিলিয়ন ৩৩১টি।
বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন হলেও শেষ হয়নি প্রস্তুতি!
সারাবাংলা/আরএফ/একে
২৭-তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা গাজী গ্রুপ প্যাভিলিয়ন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা বাণিজ্যমেলা বাণিজ্যমেলায় ভিড়