‘বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে আসার পরেই নবযুগের সূচনা হয়’
১০ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:০৩
ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সশরীরে নতুন স্বাধীন স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নবযুগের যাত্রা শুরু হয়। এরপর জাতির পিতা হিসেবে যা যা করণীয় ছিল বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে তা করে দিয়ে গেছেন। তিনি আমাদের জন্য অত্যন্ত সুন্দর একটি পররাষ্ট্র নীতি দিয়ে গেছেন। যত বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে সেগুলোর সদস্য পদ দিয়ে গেছেন এমনকি জাতিসংঘের সদস্য পদও দিয়ে গেছেন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
ড. মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। এ ধরনের ক্ষণজন্মা পুরুষ আমাদের সমাজে এসেছিলেন বলেই আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সাত কোটি বাঙালি মানুষ হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আর সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে, সোনার বাংলা অর্থাৎ একটা উন্নত, সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকগুলো ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার মধ্যে সাদৃশ্য আছে যেমন তারা দুজনই সাহসী ও দৃঢ়চেতা। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করেছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আর এটা অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় দায়িত্ব রয়েছে। এ রোডম্যাপ বাস্তবায়নে আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশকে ইতোমধ্যে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছি। তবে এতে আত্মতৃপ্ত হলে চলবে না। আমরা সেই বাংলাদেশকে দেখতে চাই, যখন কোনো বাঙালি তার পাসপোর্ট নিয়ে কোনো বিদেশি মিশনে যাবে- বিদেশিরা তখন তাকে ভিসা দিতে দ্বিধা করবে না। এমনকি বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে অন্যদেশে ভিসামুক্ত যাতায়াত করা যাবে- সে পর্যায়ে দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
আলোচনা সভার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ সময়, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি (বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে) তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম