‘মেগা প্রকল্প নিয়ে সরকারের বক্তব্য দুর্নীতির আগুনে ঘৃতাহুতি’
১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০৮
ঢাকা: মেগা প্রকল্পে বা বিদ্যুত খাতে দুর্নীতি হয়নি-সরকারের এমন বক্তব্য দুর্নীতির আগুনে ঘৃতাহুতির নামান্তর এবং দারিদ্র দূরীকরণসহ সমতাভিত্তিক ‘নীতি ও ন্যায্যতার’ সমাজ গঠনের অন্তরায়।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অপচয়, কোটি কোটি কালো টাকার মালিক উৎপাদন এখন চন্দ্র সূর্যের মতো বাস্তব ও প্রকাশিত। উন্নয়ন প্রকল্পের আড়ালে রাজনৈতিক প্রভাবে অতি সহজেই রাষ্ট্রের সম্পদ অপহরণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যাংকসহ সব আর্থিক খাত ঝুঁকিপ্রবণ, অনিশ্চিত ও বিপদসংকুল হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের ব্যয় উপমহাদেশের যে কোন রাষ্ট্রের তুলনায় অত্যধিক। পদ্মা সেতু বা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মত বহু মেগা প্রকল্পে প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে অনেক বেশি নির্মাণ খরচেই প্রমাণ হয় এসব মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির ফাঁদ পাতা রয়েছে। যদি দুর্নীতির অস্তিত্ব না থাকতো তাহলে বিশ্বে অতি দ্রুত ধনী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ এক নম্বর হওয়ার কোন সুযোগ হতো না। এই দ্রুত ধনীরাই গোপনে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ দেশের বাইরে পাচার করছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ প্রহসনের নামান্তর। জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেখানে সর্বদা সকল উপায়ে দুর্নীতি দূরীকরণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রয়োজন সেখানে সর্বগ্রাসী দুর্নীতিকে অস্বীকার বা উপেক্ষা করলে, ভয়াবহ দুর্নীতি আরো প্রণোদনা পাবে, দেশ চরম সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে। এভাবে সকল অন্যায়কে অস্বীকার করার নীতি প্রয়োগ করতে থাকলে রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে মাফিয়া সুলভ কৌশল চালু হয়ে পড়বে যা প্রজাতন্ত্রের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে ফেলবে। সুতরাং জাতির অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে দুর্নীতি, অপশাসন, অপচয়, অর্থপাচার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাসহ সব কিছু অস্বীকার করার বিপথগামী নীতি থেকে সরকারকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে।
সারাবাংলা/এএইচ এইচ/এনইউ