ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘৩০ লাখ শহিদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশের সংবিধান। এই সংবিধানে স্বাধীনতার চেতনার সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। সুতরাং সংসদ বিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সংবিধানের উপর ধারণা থাকতে হবে।’
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এলডি হলে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘সংসদ বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন তিনি।
বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভের (এমআরডিআই) নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান এবং বিপিজেএ’র সাধারণ সম্পাদক নাফিসা দৌলা বক্তব্য দেন।
শিরীন শারমিন আরও বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিন ১১ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে প্রভিশনাল কনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ অর্ডার জারি করে স্বাধীন বাংলাদেশের নিজস্ব সংবিধান প্রস্তুতের উদ্যোগ নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ফলে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সাল থেকে সংবিধান কার্যকর হয়।’
‘সংসদ বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’র কর্মশালার বিষয়ে স্পিকার বলেন, ‘রাষ্ট্রে জাতীয় সংসদের ভূমিকা, সরকারী ও বিরোধী দলের ভূমিকা, নির্বাহী, বিচার ও আইন বিভাগের পারস্পরিক সম্পর্ক বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরিতে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সাংবাদিকদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
পরে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’ বিষয়ে একটি সেশনও পরিচালনা করেন স্পিকার। সেখানে সংবিধানের ইতিহাস, মূল বিষয়বস্তু ও বিশেষত্ব, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইনসভার ভূমিকা, সংবিধানের মাধ্যমে সংবাদের ব্যাখ্যা ও তথ্য যাচাই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
এমআরডিআই’র পৃষ্ঠপোষকতায় এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সংসদ বিটের ৩০ জন সাংবাদিক, বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা, সিনিয়র সাংবাদিক কামরান রেজা চৌধুরী, নিখিল চন্দ্র ভদ্র, মশিউর রহমান খান, কাজী সোহাগ, গাজী শাহনেওয়াজ, শেখ মামুনুর রশিদ, মিজানুর রহমান, সেলিম রেজা চৌধুরী, এন রায় রাজাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
