আন্তঃধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতা দূর করার তাগিদ
২১ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৩০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে আন্তঃধর্মীয় শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন একই মঞ্চে উপস্থিত বিভিন্ন ধর্মের বিশিষ্টজনেরা।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মিলন’ অনুষ্ঠানে তারা এ আহ্বান জানান। সুফিবাদী মাইজভাণ্ডারী দর্শনের প্রবক্তা সৈয়দ আহমদউল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর ১১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান ‘মাইজভাণ্ডারী একাডেমি’এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল— সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপের গুরুত্ব।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন- ইউএসটিসি’র সাবেক উপাচার্য ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, ইসকনের চট্টগ্রামের বিভাগীয় সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাম্মদ নুর হোসাইন, বিশ্বশান্তি প্যাগোডার অধ্যক্ষ ড. জ্ঞানরত্ন মহাথেরো এবং চকবাজার শিখ টেম্পলের মোহন্ত গৌরাঙ্গ সিং।
বক্তারা বলেন, ‘মানুষে মানুষে বহুমুখী বিভাজনের সূত্র ধরে আমরা আমাদের জন্মগত ঐক্যসূত্র ভুলে যেতে বসেছি। অথচ এই প্রবণতা স্রষ্টার নির্দেশিত নীতি ও কৌশলের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। ঋগবেদ, গীতা, বাইবেল, কোরআনে, ত্রিপিটকে আন্তঃধর্মীয় সংলাপের কথা বলা আছে। পৃথিবীর অনেক বড় বড় দার্শনিকও এর গুরুত্ব দেখিয়েছেন। ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে আন্তঃধর্মীয় শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের সবাইকে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
এছাড়া আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মেলন কমিটির সদস্য বিপ্লব পার্থের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফর, সম্মিলন কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মাস্টার, সদস্য অধ্যাপক মীর তরিকুল আলম, মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, বরুন কুমার আচার্য বলাই, রায়হান উদ্দিন, আবু সালেহ সুমন, শ্যামল নন্দী, সৈয়দ মুহাম্মদ শরফ উদ্দীন রাসেল বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/আরডি/এনএস