ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারের নানা ঘটনা নিয়ে আমরা সবসময় চীনের সাহায্য চেয়ে থাকি। কেননা মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব আছে। রোববার (২২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘আগে শুনতাম, পশ্চিমা অনেক কোম্পানি মিয়ানমারকে সাহায্য করে। এই যেমন অস্ত্রতেও। মিডিয়ার মাধ্যমে এখন তা আমরা জানতে পেরেছি। এতে আমরা খুব মর্মাহত।’
মিয়ানমারের সীমান্ত সংঘাত বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা একে অপরের সঙ্গে মারামারি শুরু করেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়েছে। ফলে অনেক রোহিঙ্গারা, তারা বর্ডার লাইনে আছে, ঢোকার চেষ্টা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বর্ডার প্রোটেকশনে রাখি, কাউকে ঢুকতে দিই নাই। আর আমাদের এদিকে এটা আতংক হচ্ছে। গোলাগুলি হচ্ছে, মারামারি হচ্ছে, লোক মারাও গেছে। বাট আমরা ওখানে খুব সতর্ক অবস্থানে আছি। যাতে আমাদের অসুবিধা না হয়। এবং উই আর ওয়ার্কিং উইথ দেম। আমরা চাচ্ছি যে, এই সংঘাতটা যাতে বন্ধ হয়।’
মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা বিষয়ে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ চলছে, বাট ওখানে মিয়ানমার সরকারেরও সক্ষমতা অনেক দুর্বল। সেইটা একটা সমস্যা। আমরা তো আর বিদ্রোহী দলের সঙ্গে আলাপ করি না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আমার সঙ্গে দেখা করবেন এবং তাদের মধ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এদিন, চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন। পরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে বিবদমান দুই গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে উদ্ভূত পরিস্থিতি চীনের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক চলছে।’
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বেইজিং যথাযথভাবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বেইজিংও বিশ্বাস করে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।’ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে চীন সহযোগিতা করে যাবে বলেও জানান চীনের রাষ্ট্রদূত।