Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এমপিওভুক্তরা বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে পারবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৫৭

ঢাকা: এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের অন্য প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের অন্য প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ বন্ধ করে ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর জারি করা পরিপত্র ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।

পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিয়োগে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি-২০২২ এর ১২ নম্বর শর্ত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১৪ নভেম্বর জারি করা পরিপত্র কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না; এ ছাড়া রিটকারীদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ), কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রোববার (২২ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন জেলার ৮৩ জন প্রার্থীর দায়ের করা পৃথক দুটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এবং তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. শরিফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী।

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে অনুসরণীয় পদ্ধতি’ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে।

বিজ্ঞাপন

উক্ত পরিপত্রের ৭.০. নং ক্রমিকে বলা হয়েছে, ‘কর্মরত কোন শিক্ষক যদি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন তবে তাকেও অপরাপর আবেদনকারীদের ন্যায় একইভাবে মেধাক্রমের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হবে’ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ধারা ১২ এবং বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ধারা ২৩.১ এ উল্লেখ্য আছে যে, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে সমপদে বা উচ্চতর পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে পূর্বের প্রতিষ্ঠান হতে ছাড়পত্র ও দায়মুক্তিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে নতুন প্রতিষ্ঠানে এমপিও প্রাপ্য হবে’।

কিন্তু ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অপর একটি পরিপত্র জারি করে। উক্ত পরিপত্রের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর জারি করা পরিপত্রের ৭.০. নং ক্রমিক সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর এনটিআরসিএ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই গণবিজ্ঞপ্তির ১২ নং শর্তে ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর জারি করা পরিপত্রের বিষয়টি উল্লেখ করে নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের অন্য প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ বাতিল করে।

এ কারণে এনটিআরসিএর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বরের পরিপত্রের ওপর সংক্ষুব্ধ হয়ে মাহবুব আলম, আনিসুর রহমান, মো. উজ্জল আলী, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. ফজলুল হক, শাকিলা আক্তার, মো. শামিম হোসেনসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ৮৩ জন নিবন্ধনধারী শিক্ষক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের অন্য প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ প্রশ্নে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বরের পরিপত্র ছয় (০৬) মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।

এই আদেশের ফলে এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা এনটিআরসিএর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

এমপিওভুক্তি বিভাগীয় প্রার্থী রুল হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর