Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধারাবাহিক উন্নয়নে স্মার্ট দেশ হবে বাংলাদেশ: গোলাম দস্তগীর গাজী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:০২

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়ণের লক্ষ্যে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত সোনার বাংলা গড়ার পথে অগ্রসর হচ্ছেন। এ লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নিয়ে যেতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ধারাবাহিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট রাষ্ট্রে পরিণত করবে ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভপতিত্বে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ত্রিশ লাখ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ও সম্ভ্রম হারা দুই লাখ মা-বোনকে। সেই সঙ্গে আরও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন ৭৫-এর আগস্টে বঙ্গমাতা শেখ ফজলিাতুন্নেসাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহিদ সদস্যদের।’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন তুলে ধরে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সাফল্যের সঙ্গে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করেছেন। বর্তমান কোভিড-১৯ জনিত বৈশ্বিক ক্রান্তিলগ্নে সরকার সীমিত সম্পদ ও সামর্থ্য সত্ত্বেও মহামারি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী করোনা মহামারির সময়ে আপানি বস্ত্রখাতসহ সব ব্যবসায়ীদের মাঝে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প-প্রতিষ্ঠান খুলে রাখার পক্ষে সাহসী সিদ্ধান্ত নেন, ফলে বিশ্বব্যাপী চরম অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও দেশের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা মহামারির সময়ে শিল্প কলকারখানসহ সবকিছু বন্ধ রেখে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী করোনা মহামারির সময়ে আপনার সঠিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই দেশ এক মহাবিপর্যয়কে কাটিয়ে উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়েও দেশের বিদ্যুৎখাতের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। প্রতিদিন ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বপ্নের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ করোনাকালীন সব বাধা উপেক্ষা করে অব্যাহত ছিল, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা থাকলেও তা এখনও বাধাগ্রস্ত হয়নি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শিতার কারণে। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত কারার জন্য সঞ্চালন লাইনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।’

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্য়ন সম্পর্কে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অসহযোগিতা সত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দেশীয় অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু আজ দেশের সক্ষমতা ও গর্বের প্রতীক। পদ্মা সেতু চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সড়ক নেটওয়ার্কসহ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলোর মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। রাজধানীর যানজট কমাতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্টোরেল এরইমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। মেট্টোরেল চালুর দিন আমার যাত্রী হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীর সহযাত্রী হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। এটি বাঙালি জাতির জন্য চরম গর্বের অনুভূতি।’

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন যুগে প্রবেশ করতে সমর্থ হয়েছে, যা বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের সক্ষমতার উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। আমি আশা করি, যে গতিতে মেট্টোরেলের কাজ চলছে তাতে চলতি বছরের মধ্যে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত এ মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হবে। আবার এ মাসের ২ তারিখে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পাতাল মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজের শুভ উদ্‌বোধন করেছেন। আগামী ৫ বছরের মধ্যে মেট্টোরেলের বাকি লাইনগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসন হবে। এছাড়াও, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা শহরের উত্তর ও দক্ষিণাংশের সংযোগ সহজ হবে, ট্রাফিক ধারণ ক্ষমতা বাড়বে, যাত্রার সময় কমবে এবং এ পথে ভ্রমণ আরামদায়ক হবে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু টানেলটি দক্ষিণ এশিয়ায় নির্মিত প্রথম টানেল। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত সময়ে এটি চালুর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আরেকটি সাফল্য অর্জিত হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে এ সরকারের আমলে ব্যাপক সফলতা অর্জিত হয়েছে। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও বছরের প্রথমদিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর হাতে চার রঙা পাঠ্যবই বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়াও, বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও চালুকরণ, সারাদেশে নতুন নতুন অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে ওয়াশব্লক নির্মাণ, বিভিন্ন জেলায় নতুন পিটিআই নির্মাণ, দেশের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় বিদ্যালয়-কাম-সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় আইসিটি প্রসারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উচ্চ শিক্ষাকে গুনগত মানসম্পন্ন করতে সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।’

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাফল্য কার্যক্রম তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্র ও পাটখাতের ভূমিকা অপরিসীম। স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁতশিল্পের মান উন্নয়নের পাশাপাশি বস্ত্র ও পাটখাতকে সমৃদ্ধ করার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দ্রুত সম্প্রসারিত এ শিল্প দুটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। দেশের মোট রফতানির সিংহভাগ অর্জিত হয় বস্ত্র ও পাটখাত থেকে। দেশের প্রায় ৪ কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাটখাতের ওপর নির্ভরশীল পাশাপাশি বর্তমানে বস্ত্রখাতে প্রায় অর্ধকোটি লোক কর্মরত রয়েছে। বস্ত্রখাতে মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮০ ভাগই নারী। ফলে দেশের গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বস্ত্র ও পাটখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধান রফতানিখাত বস্ত্রশিল্পে বিদেশি জনবলের নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে চাচ্ছে সরকার। এ শিল্পে ফ্লোর, মধ্যম ও নির্বাহী পর্যায়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযুক্ত দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে সারাদেশে। বস্ত্র অধিদফতর সরকারি পর্যায়ে ৪১ টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট, ১১টি টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট এবং ৯টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মাধ্যমে স্বল্প খরচে বস্ত্রখাতের জন্য দক্ষ শ্রমিক, সুপারভাইজার, ডিপ্লোমা প্রযুক্তিবিদ সর্বোপরি স্নাতক পর্যায়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করে চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি বস্ত্র শিল্প খাতে সরবরাহ করছে। এছাড়াও, কারিগরি শিক্ষায় ‍শিক্ষিত দক্ষ জনবলের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষ জনবলের ক্রমবর্দ্ধমান চাহিদা মেটাতে এ ধরনের আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ও তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে দেশের প্রান্তিক তাঁতিদের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাঁত পণ্যের নতুন নতুন ডিজাইন উদ্ভাবন, উদ্ভাবিত নতুন ডিজাইনের উপর তাঁতিদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘তাঁত বস্ত্রের উন্নয়নে ফ্যাশন ডিজাইন, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। পদ্মা সেতুকে সামনে রেখে শিল্পায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে স্বপ্নের পদ্মা সেতু লাগোয়া জাজিরা প্রান্তে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় ১২০ একর জমির ওপর ‘শেখ হাসিনা তাঁত পল্লি’ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রায় ১৭০ বছর পূর্বে হারিয়ে যাওয়া গৌরবময় ঢাকাই মসলিন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় মসলিন সুতা তৈরির তুলার জাত পুনরুদ্ধার এবং ৭০০-১০০০ কাউন্টের সুতা তৈরিসহ মসলিন শাড়ি তৈরির প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে। দেশের সাধারণ তাঁতিদের মাঝে এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভায় ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ স্থাপন করা হয়েছে। বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে মসলিনের স্বকিয়তা ঠিক রেখে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড দেশব্যাপী তুঁতচাষ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাটচাষি, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারীগণ, ব্যবসায়ী সংগঠন-এর পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী। তিনি পাটজাত পণ্যকে ‘বর্ষপণ্য-২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে, পাটপণ্যকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। পাশাপাশি পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করায় কৃষিপণ্যের মত পাটেও সকল আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে। এরইমধ্যে জেডিপিসির নিবন্ধিত উদ্যোক্তাগণ ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করেছেন- যার অধিকাংশই বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। এছাড়াও বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে আরও জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বন্ধকৃত বিজেএমসির মিলগুলো সরকারী মালিকানায় রেখে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এরইমধ্যে ৬টি জুট মিল ভাড়াভিত্তিক ইজারা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি মিলে বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অবশিষ্ট ১১টি জুট মিল ও ২টি নন জুট মিলের জন্য টেন্ডার যাচাই বাছাই কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ পর্যায়ে বেশ কয়েকটি মিল অচিরেই চালু হবে। এবং পুনরায় চালুকৃত মিলে অবসায়নকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে এসব মিলে নুতন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সব ক্ষেত্রে দেশের সামগ্রিক সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে স্বল্প সময়ে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়েছে।’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিগত চৌদ্দ বছরে সারা দেশে প্রত্যেকটি উপজেলায় সব ক্ষেত্রে ‘মিনি মেগা প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করেছে। প্রত্যেকটি উপজেলায়, প্রত্যেকটি সংসদীয় এলাকায় সকল রাস্তা পাকাকরণ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজের শ্রেণি কক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি, একাডেমিক ভবনসমূহের ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ, দেশের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় বিদ্যালয়-কাম-সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, বিভিন্ন আঞ্চলিক ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যে পরিমাণ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে তার সমষ্টি কোনো অংশে মেগা প্রজেক্টের চেয়ে কম নয়।’

মন্ত্রী তার নির্বাচনি এলকা নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলাবাসীদের পক্ষে থেকে প্রধান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রেী শেখ হাসিনাকে পর পর ৩ বার (২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (নারায়ণগঞ্জ-১) রূপগঞ্জ উপজেলার দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দান করে তৃতীয়বারের মতো এই মহান সংসদে আসার সুযোগ দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম নারায়নগঞ্জ জেলার একজন সংসদ সদস্যকে মন্ত্রী পরিষদে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দানের জননেত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী তার নির্বাচনি রূপগঞ্জ এলাকাবাসীকে পরপর তিনবার ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করায় ধন্যবাদ জানান।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

গোলাম দস্তগীর গাজী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর