যৌতুক মামলায় বিচারকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:০৩
রংপুর: ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে রংপুরে স্ত্রীর করা মামলায় বিচারক স্বামী দেবাংশু কুমার সরকার ও তার বাবা সুধাংসু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে অবিলম্বে কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এই পরোয়ানা জারি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার রফিক হাসনাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিপি জানান, ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী তার স্বামী দেবাংশু সরকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ মামলা করেন। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী নারাজি করেন। ফলে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপারকে বুধবার সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন বিচারক।
তিনি বলেন, ‘বিচারক তদন্তের বিষয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবাংশু কুমার সরকার ও তার বাবা সুধাংশু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে সুধাংশু কুমার সরকারকে রংপুর থেকে বদলি করা হয়েছে।’
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি রংপুর মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাস করার পর বর্তমানে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত আছেন। ২০১৫ সালের ১১ মে ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিচারক রংপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক দেবাংশু কুমার সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বামী ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে বাদীর বাবা ৫০ ভরি সোনাসহ ২৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী দেন। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই আসামি পুনরায় একটি নতুন গাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বাদীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। এ ঘটনায় গত বছরের ২৪ এপ্রিল রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে স্বামী বিচারক দেবাংশু কুমার সরকার, তার বাবা সুধাংশু কুমার সরকার, নিলয় দে সরকার ও রঞ্জন সরকারের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তরা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট বাজার পূর্ব গ্রামের বাসিন্দা।
সারাবাংলা/একে