Monday 09 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পাওয়া গেছে: প্রকল্প পরিচালক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:০৪ | আপডেট: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৪৮

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে মজুত থাকা ৪০ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইভিএম প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান।

তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই করে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পাওয়া গেছে। ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া ত্রুটিমুক্ত এক লাখ ১০ হাজার ইভিএম ভোটের জন্য প্রস্তুত রাখা আছে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে ইভিএম নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক বলেন, অর্থ সংকটে নতুন ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। ফলে কমিশনকে মজুত ইভিএমের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু যে পরিমাণ ইভিএম মজুত আছে, তার কতগুলো এখন ব্যবহারযোগ্য আর কতগুলো মেরামত করতে হবে, সে হিসাব আমরা করেছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে মজুত ৭০ হাজার এবং অন্য গোডাউনে থাকা ৪০ হাজারসহ মোট এক লাখ ১০ হাজার ইভিএম এখন ভোটের জন্য সচল। বিভিন্ন সময় ভোটের পর সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করাসহ অযত্ন-অবহেলায় ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো অকেজো হয়ে গেছে।

ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক কর্ণেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৭০ হাজার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) সংরক্ষিত রয়েছে। ৮০ হাজার মেশিন মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার হয়েছে।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে ৮০ হাজার ইভিএমের মধ্যে ৪০ হাজার হার্ড বক্সে পাঠানো হয়েছিল। বাকি ৪০ হাজার পাঠানো হয়েছিল কাগজের বক্সে, সেগুলো কোয়ালিটি চেকিং করা হচ্ছে। আর বিএমটিএফে যে ৭০ হাজার মেশিন ছিল, সেগুলোর মধ্য থেকেও কিছু কিছু ব্যালট ইউনিট বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে। কেননা, কিছু কিছু জায়গায় একটি কন্ট্রোল ইউনিটের বিপরীতে একাধিক ব্যালট ইউনিটের প্রয়োজন পড়েছে। এক্ষেত্রে সেই ৭০ হাজার মেশিনের সেট (কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট প্রভৃতি) মেলাতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ৩৫ শতাংশ কোয়ালিটি চেকিং (কিউসি) করা বাকি আছে। বিএমটিএফ কাজটি করছে। এক্ষেত্রে আগামী মার্চের মধ্যে জানা যাবে সংসদ নির্বাচনে কতটি মেশিন ব্যবহারযোগ্য। তাই এখন বলা সম্ভব নয়।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, নতুন প্রকল্প স্থগিত হওয়ায় আমাদের হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএম দিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ঠিক কতটি মেশিন রেডি করা যায়। প্রচেষ্টা আমাদের চলছে। কিউসি করছি। কাজটি চলমান রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় কতগুলো ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব। কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক চেষ্টা করবো।

জানা যায়, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার অভাবে এখন অনেক ইভিএমই ত্রুটিপূর্ণ হয়ে গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি সংসদীয় আসনসহ বিগত পাঁচ বছরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এবং বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

এখন ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলার ৪০টিরও বেশি অস্থায়ী গুদামে ইভিএমগুলো সংরক্ষণ করা আছে। গত চার মাস ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পেয়েছে ইসি।

সারাবাংলা/জিএস/এনইউ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর