দেশের ওপর যেন আর কারো কালো থাবা না পড়ে: প্রধানমন্ত্রী
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৭
ঢাকা: বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, কেউ আর থামাতে পারবে না দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই বাংলাদেশের ওপর আর যেন কারো কালো থাবা না পড়ে তাই দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। রক্ত দিয়ে আমরা স্বাধীনতা এনেছি। কাজেই এই দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তুলবো।
বুধবার (১৫ ফেব্রয়ারি) সকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ‘বীর নিবাস’র চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল প্রান্তে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি নড়াইলের বীর নিবাস প্রাপ্ত উপকারভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ এটাকে আর থামাতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়েই এই বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা গড়ে তুলবো, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
এই বাংলাদেশের ওপর আর যেন কারো কালো থাবা না পড়ে তাই দেশবাসীকেই সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। এই দেশ আমাদের। রক্ত দিয়ে আমরা স্বাধীনতা এনেছি জাতির পিতার নেতৃত্বে। কাজেই এই দেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো।’
সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা সময় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সম্মান দেওয়া হচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে সব মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানানো হচ্ছে এবং এটিকে নিজেদের কর্তব্য বলে মনে করি।’
অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস হস্তান্তর কাজে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতিও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, বীর নিবাসের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব এম ইদ্রিস সিদ্দিকী। এছাড়া বিভিন্ন প্রান্তে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। আর গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীসহ তার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/ইআ