সরকারি হাসপাতালে বিকেলেও রোগী দেখবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:১৭
ঢাকা: চূড়ান্ত করা হয়েছে সরকারি হাসপাতালে অফিস সময়ের পর বিকেলের শিফটে রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য চালু হতে যাওয়া ‘বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা’। নীতিমালা অনুযায়ী সকালের শিফট শেষে বিকেলে ৩০০ টাকায় দেখানো যাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এছাড়া ৪ হাজার টাকার মধ্যেই করা যাবে যেকোনো অস্ত্রোপচার। রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা থাকবে ২৪ ঘণ্টা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পহেলা মার্চ থেকেই জেলা-উপজেলার ৭৪টি হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে এই সেবা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ২০ জেলা, ৫০ উপজেলা ও চারটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষামূলক সেবা শুরু পহেলা মার্চ। এতে থাকবে উচ্চতর ডিগ্রিধারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বার, অস্ত্রোপচার, রোগ নির্ণয়সহ ৪ ধরনের সেবা। এই সেবা মিলবে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা অনুযায়ী, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক সপ্তাহে দুই দিন করে নিজের রোগী দেখবেন। এক্ষেত্রে টিকিট নেওয়া যাবে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ফি ৩০০ টাকা। এই টাকায় এক মাসের মধ্যে ফলো-আপ হিসেবে আরও একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যাবে। আর ১৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায় করা যাবে যেকোনো ধরনের অস্ত্রোপচার।
নীতিমালা অনুযায়ী দেখা যায়, চিকিৎসকদের বৈকালিক শিফটে দায়িত্ব পালন করে পাওয়া পরামর্শ ফির ৩০০ টাকার মধ্যে চিকিৎসক পাবেন ১০০ টাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভাগ ১০০ এবং ১০০ টাকা জমা হবে সরকারি কোষাগারে। আর অস্ত্রোপচারের ফি থেকে অর্ধেক পাবেন চিকিৎসক। এসব অর্থ তারা দুই মাস পর হাতে পাবেন। এছাড়া টিকেট কেনার তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মোট দুইবার চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন রোগীরা।
তবে এই সেবায় যুক্ত কোনো চিকিৎসক বিকেল ৩টা থেকে দায়িত্ব শুরু করে সন্ধ্যা ৭টার আগে হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে নীতিমালায়। শর্ত থাকে যে, নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগী দেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/ বিশেষায়িত হাসপাতাল/জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বৈকালিক চেম্বারে চিকিৎসকের সেবার মান ভাল হলে, তা পদোন্নতি ও উচ্চশিক্ষার জন্য সহায়ক হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে সরকারি অপারেশন থিয়েটার ও অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট ব্যবহার করে সার্জারি করা হবে। এই বৈকালিক অফিস পরবর্তী বহির্বিভাগে রোস্টার অনুযায়ী যদি কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবহিত করে ছুটিতে বা অন্য কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট সমমর্যাদা সম্পন্ন, অন্য কোনো চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া চিকিৎসা সেবা (কনসালটেশন) বন্ধ রাখা যাবে না।
নীতিমালায় জানানো হয়, বহির্বিভাগীয় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা পরামর্শ নেওয়া রোগীর হিসাব যথাযথভাবে রেজিস্টারে সংরক্ষণ করতে হবে। সার্বিক কাজের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ওপর বর্তাবে। এছাড়াও প্রতিটি কনসালটেশন রুমে একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স একজন অফিস সহায়ক সহযোগী হিসেবে কাজ করবেন। এক্ষেত্রে প্রতি ৩ (তিন) মাস পরপর এই দায়িত্ব পরিবর্তন করতে হবে।
বিকেলের এই স্পেশালিস্ট সার্ভিসে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেলে বিশেষজ্ঞের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে- উল্লেখ করা হয় নীতিমালায়।
নীতিমালা অনুযায়ী, বিকেলের এ চেম্বারে মেডিসিন বিভাগ থেকে শুরু করে নানা রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ পাবেন রোগীরা। এছাড়া প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারসহ নানা রকমের ডায়াগনস্টিক সেবার পাশাপাশি রেডিওলোজী ও ইমেজিং সেবা পাবেন রোগীরা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বা পরিচালকরা রোগী দেখার জন্য রোস্টার চালু করবেন। প্রাথমিকভাবে প্রতি বিভাগ থেকে একজন করে চিকিৎসক নিয়ে এই রোস্টার চালু করতে পারেন তারা।
বিকেলের এই শিফটে সপ্তাহে একজন অধ্যাপক দু’দিন রোস্টারে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে নীতিমালায়। এছাড়া একজন সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক সপ্তাহে দু’দিন করে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের বসার ব্যবস্থা এবং নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করবে।
নীতিমালায় জাতীয় পর্যায়ের খ্যাতনামা চিকিৎসকরা অবসরের পরও বিকেলের শিফটে চালু হতে যাওয়া এই কর্মসূচিতে আর্থিক সুবিধাসহ সংযুক্ত হতে পারবেন।
বিকেলের স্পেশালিস্ট কনসালটেশন সার্ভিসে ব্যবহৃত টিকেট শুধুমাত্র বিকেলের আউটডোর সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে। তবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি অথবা সাধারণ চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিকেলের এই আউটডোরের টিকেট প্রযোজ্য হবে না। তবে পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তির জন্য এই টিকেট রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
শুধুমাত্র রোগীদের চিকিৎসাসেবাই নয়, বিকেলের এই বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবায় চিকিৎসকদের সেবার মান ভালো হলে থাকছে বিশেষ পুরষ্কারের ব্যবস্থাও। এক্ষেত্রে তার ভূমিকার উপর নির্ভর করে হতে পারে পরবর্তী পদোন্নতি এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বিবেচনা করা হবে যার জন্য আলাদা গাইডলাইন প্রস্তুত করা হবে।
নীতিমালায় জানানো হয়েছে, রোগী দেখার ব্যবস্থা, Waiting রুম, রোগ নির্ণয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অন্যান্য যাবতীয় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য ও জনবল ইত্যাদির সরবরাহ সরকার বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে। তবে জরুরি ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য ও অন্যান্য সামগ্রী কেনার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা ইন্সটিটিউট হাসপাতাল সর্বাধিক ১০ হাজার টাকা, জেলা হাসপাতালে ৭ হাজার টাকা ও অন্যান্য হাসপাতাল ৫ হাজার টাকা নগদ রাখতে পারবে এবং জরুরি প্রয়োজনে এই সেবা চালু রাখার স্বার্থে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে তহবিলের অর্থ ব্যয় করা যাবে।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিমাসে তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখবেন এবং বছরে ২ বার ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস মনিটরিং কমিটির নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ করার নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে নীতিমালায়। এই বিশেষায়িত সেবার আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতার জন্য বছরের একবার সরকারি অডিট টিম দিয়ে অডিট করার নির্দেশনাও থাকছে নীতিমালায়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নীতিমালাটি কার্যকর করা হতে পারে বলে জানা গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা পুরো কার্যক্রমকে মনিটরিং করবে।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেম্বারের ভাবনা সরকারের ভালো উদ্যোগ। তবে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার অবকাঠামো পর্যাপ্ত নয়। রাজধানীর বাইরে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানের পদ খালি। এ দেশে প্রচুর মানুষ, প্রচুর রোগী। হাসপাতালগুলোতে বারান্দায় রোগী রাখতে হয়। অবকাঠামো ঠিক না করে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে পুরো চিকিৎসাসেবা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বিএসএমএমইউ, বারডেম, হার্ট ফাউন্ডেশনে এ ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে সক্ষমতা আছে। অন্যান্য হাসপাতালে নিয়মিত রোগী ও তার স্বজনদের বসার জায়গা নেই। প্রস্রাব-পায়খানা করার ব্যবস্থা নেই। নতুন করে অবকাঠামো ও প্যাথলজি সুবিধা এবং লোকবল না বাড়িয়ে এ ধরনের উদ্যোগে লাভ হবে না।’
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটা চিকিৎসকদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। না করতে চাইলে করবেন না। সপ্তাহে একদিন চিকিৎসকরা সময় দেবেন। বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবা দেবেন। নিয়ম হলে কেন করবেন না। নীতিমালা করা হচ্ছে। রোগীরা বিশেষায়িত চিকিৎসা পাবে। বিএসএমএমইউকে পাইলট হিসেবে ধরার কথা বলা হয়েছে। বিএসএমএমইউতে চিকিৎসকরা যেভাবে রোগী দেখেন, সেভাবেই প্রস্তাব দেওয়া হবে। যে হাসপাতালে রোগী দেখবেন, সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।’
চিকিৎসকদের সরকারি হাসপাতালে চেম্বারে ব্যক্তিগতভাবে রোগী দেখার সুবিধা এবং অসুবিধা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশিষ্ট চিকিৎসাবিজ্ঞানী এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হেলথ সায়েন্সেসের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, ‘নীতিগতভাবে এটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত। এতে সরকারি অবকাঠামোর যে সীমিত ব্যবহার, তার থেকে অনেক বেশি ব্যবহার করা যাবে। জনগণ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সুলভ মূল্যে একটা নৈতিক পরিবেশে সেবা পাবে, এটা একটা বড় সুবিধার বিষয় আছে। তবে এর সাথে আরও কিছু সমন্বিত ব্যবস্থাপনা এবং পাইলটিংয়ের মাধ্যমে যথাযথভাবে না করে এক সঙ্গে বাস্তবায়ন করাটা সম্ভব হবে কিনা, সেই বিষয়ে সংশয় রয়েছে।’
তিনি বলেন, “যখন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা সেবা দেবেন, তখন সেখানে ডায়াগনস্টিক ফ্যাসিলিটিসহ অন্যান্য চিকিৎসা অবকাঠামো যদি না থাকে তাহলে রোগীর আবার পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বাইরে যেতে হলে অনৈতিকতার ঘাঁটি হয়ে যায় কিনা? আবার সেখানে যেহেতু ডুয়েল প্রাকটিস থাকবে, এমন না যে যারা ‘ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস’ করবে তাদের বাইরে প্রাকটিস বাদ দিয়ে সারাক্ষণ ইন্সটিটিউশনে থাকার বাধ্যকতা থাকবে, তেমনটাও না। হয়তো তারা রোটেশনাল ডিউটি করবে, যেমনটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা কিছুক্ষণ ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস করবে, আবার কিছুক্ষণ বাইরে প্রাকটিস করবে। সেক্ষেত্রে এটেন্ডেন্ট থেকে শুরু করে এসিস্ট্যান্টদের যে চেইন রয়েছে, তাদের মাধ্যমে রোগীদের ডায়ভার্ট করার জটিল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় কিনা, যদি যথাযথ রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ না থাকে। পাশাপাশি আনুষঙ্গিক সুবিধা না থাকলে বাধ্য হয়ে রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা বাইরে থেকে করে আনতে হবে। তাই সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া বিষয়টা কতটুকু সফল হবে, সেই প্রশ্ন থেকে যায়।’
ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রথমে পাইলটিং হওয়া উচিৎ যেখানে মেডিক্যাল শিক্ষা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যেন চিকিৎসা এবং মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দিতে পারেন। আমাদের সময় শিক্ষক সন্ধ্যাকালীন একটা রাউন্ড দিতেন। দিনে পাবলিক রিলেশন, পরীক্ষা, মিটিং নিয়ে ব্যস্ততা থাকলেও সন্ধ্যাকালীন রাউন্ডে আমরা বেশি শিখতে পারতাম। তাই সন্ধ্যা পর্যন্ত যদি ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস থাকে, তাহলে সেটা যদি এভাবে করা যায় যে, প্রথমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে পাইলট আকারে হবে, তারপর জেলা উপজেলা পর্যায়ে সামর্থ্য বৃদ্ধি করে বিস্তৃত করা হবে। আর ডুয়েল প্রাকটিস চালু রেখে, ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস কতটা সফল হবে, সেটাও সন্দিহান। যদি ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস করতে হয়, তাহলে যথাযথ প্রণোদনা এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে যারা ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিসে রাজি হবে, তাদের ফুল টাইম ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিসে রাখতে হবে। ডুয়েল প্রাকটিসে নৈতিকতার প্রশ্ন চলে আসে এবং সেটা নিয়ন্ত্রণ করাও খুব কঠিন হবে।’
নীতিমালাকে স্বাগত জানিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘সরকারের যেকোনো ভালো উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে বিষয়টি যেহেতু সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্য, তাই আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমরা তো বেসরকারিভাবে ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
সারাবাংলা/এসবি/এমও
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা সরকারি হাসপাতাল