পঞ্চম দুয়ার খুলল মেট্রোর, পৌঁছানো যাবে ১২ মিনিটে
১ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪৪
ঢাকা: মেট্রোরেলের আরও একটি স্টেশন চালু হলো। বুধবার (১ মার্চ) সকালে মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনে মেট্রোরেল যাত্রা বিরতি শুরু করেছে। উত্তরার দিয়াবাড়িতে শুরুর স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনে মাত্র ১২ মিনিটে পৌঁছেছে।
এর আগে, ১৮ ফেব্রুয়ারি দু’টি স্টেশন চালু করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের ৯টি স্টেশন মার্চের মধ্যেই চালু করা হবে।
নতুন স্টেশনটি চালু হওয়ায় এখন থেকে রাজধানীর উত্তরা থেকে পল্লবী, উত্তরা সেন্টার এবং মিরপুর-১০ নম্বরে যাত্রাবিরতি দেবে। স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ওঠানামার জন্য ট্রেনটি ১ মিনিটের মতো সময় দেয়। উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে এখন পর্যন্ত মাঝের তিনটি স্টেশন চালু হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার মেট্রোরেল পথে মোট ৯টি স্টেশন রয়েছে। আর চালু হয়েছে পাঁচটি স্টেশন।
বাকি চারটি চলতি মাসের মধ্যেই যাত্রাবিরতি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, উদ্বোধনের পর গত ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশন, ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা সেন্টার স্টেমন এবং সবশেষ মিরপুর-১০ স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেওয়া হচ্ছে। বাকি চারটি স্টেশনও পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে।
উত্তরা থেকে আগারগাও মেট্রোরেল পথে বাকি থাকা চার স্টেশন উত্তরা দক্ষিণ, মিরপুর-১১, কাজিপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশন। চলতি মাসেই এগুলোতে যাত্রাবিরতি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা। তবে মার্চে সবগুলো স্টেশনে যাত্রাবিরতি করা হলেও জুলাই থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পৌনে ১২ কিলোমিটার মেট্রোরেল পথের উদ্বোধন গত ২৮ ডিসেম্বর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই দিনে চার ঘন্টা করে যাত্রী পরিবহন করছে মেট্রোরেল। প্রাথমিক পরিকল্পনায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার নির্মানের কথা ছিল। পরে সংশোধন করে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়ানো হয়। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্থাপনে চলমান এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এরপর কমলাপুর পর্যন্ত যুক্ত হওয়ায় এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। এরমধ্যে জাইকা ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা দিচ্ছে আর সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ