খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলা, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা
১ মার্চ ২০২৩ ২৩:২৮
ঢাকা: শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় সোনা ডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল ব্শ্বিবিদ্যালয়ের প্রথম ডিন ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখার আজীবন সদস্য অধ্যাপক ডা. কুতুব উদ্দীন মল্লিক সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টার সময় শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নিশাত আবদুল্লাহর ওপর হামলা করা হয়েছে। এ সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মানসিকভাবে নিগৃহীত করা হয়।
এদিকে, ডা. নিশাত আব্দুল্লাহকে মারধরের প্রতিবাদে খুলনার সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। বুধবার (১ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ৬টা পর্যন্ত। তবে জরুরি বিভাগ সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কর্মবিরতিতে রোগীরা যাতে দুর্ভোগে না পড়েন, সেজন্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর জরুরি বিভাগ খোলা রাখা হয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখা এই কর্মসূচি ঘোষণা করে।
হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখা।
সমাবেশে চিকিৎসক নেতারা অবিলম্বে মামলার আসামি পুলিশের এএসআই নাঈমসহ অন্যদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। এএসআই কিভাবে একজন চিকিৎসকের গায়ে লাথি মারতে পারেন, এমন প্রশ্ন করেন চিকিৎসক নেতারা। তারা জানতে চান, এসব আইনের মানুষকে প্রশাসন কী শিক্ষা দেয়।
তারা আরও বলেন, চিকিৎসককে লাথি মারার ক্ষমতা পুলিশকে কে দিয়েছে। আর কোনো হাত যদি চিকিৎসকদের ওপর উঠে, সে হাত ভেঙে দেব। এসময় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে বহিষ্কারের দাবি করা হয় সমাবেশ থেকে।
বিএমএ সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, ‘গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর শেখপাড়া এলাকার হক নার্সিং হোমের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাঈম (সাতক্ষীরা সদরে কর্মরত) ও তার সঙ্গীরা ডা. শেখ নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন। এ ছাড়া অপারেশন থিয়েটারে ভাংচুর চালায় তারা। এক মাস আগে অপারেশন করা রোগীর জটিলতার কথা বলে তারা এই হামলা চালায়।’
ডা. নিশাত বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম