Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সংকট সরকারের সৃষ্টি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:০৭

ঢাকা: পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সংকট সরকারের সৃষ্টি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (০৫ মার্চ) দুপুরে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে পর আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল পঞ্চগড়ে চরম একটা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেখানে দুইজন নিহত হয়েছে, দোকান-পাটসহ বাড়িঘর লুটপাট করা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন যে, এই ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকল কেন? সেখানে সমাবেশ করার অনুমতিই বা দেওয়া হল কেন? পরবর্তীকালে যখন আক্রমণ হয়েছে তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হল না কেন?’

‘এই যে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি করা, বিভেদ সৃষ্টি করা–এটা সরকার সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি তারা অত্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে এটা করছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে, অধিকার আদায়ের জন্য যথন সংগ্রাম শুরু করেছে, দ্রব্যমূল্যের দাম যখন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, মানুষ যখন এই নিয়ে স্বোচ্চার হচ্ছে, মিছিল করছে। রাজনৈতিক দলগুলো যখন রাস্তায় নেমে এসেছে। তখন এই ধরনের ডাইভারশন করানো জন্য, শুধুমাত্র জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য, দৃষ্টি অন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্য এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী সরকার। তাদেরকেই জবাবদিহি করতে হবে এবং যারা দায়ী এই ঘটনার জন্য তাদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সীতাকুন্ডে এবং ঢাকায় বিস্ফোরণের জন্য সরকারের দায়ী করে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন এই বিস্ফোরণগুলো ঘটছে কেন? সরকার যখন ব্যর্থ হয় তখন তার কোনো প্রতিষ্ঠান ঠিক মতো কাজ করে না। সব জায়গায় সব কিছু সঠিকভাবে আছে কিনা, যেখানে বিষ্ফোরক আছে, সেখানে যেন বিস্ফোরণ না ঘটে, দুর্ঘটনা ঘটলে যেন মানুষের জীবননাশ না হয় সেই বিষয়গুলো যাদের তদারকি করার কথা, তারা তা করছে না। এ ব্যাপারে সরকারি সংস্থাগুলো সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণে এই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটছে।’

চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নুরে আলম ও শাহজালাল মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এবং যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশীদ খান বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করতে, এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্য়ন্ত আমরা রাজপথে অবস্থান করে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘আদানি গ্রুপের সাথে সরকারের বিদ্যুত চুক্তির বিষয়টাকে ঘুরানো জন্য পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। এটা মানুষ এখন বলাবলি করছে। আপনারা দেখেছেন, কয়েকদিন আগে প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল নিয়ে সরকার কীভাবে বিতর্কিত করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

সম্পর্কিত খবর