চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনে বাপেক্সের কর্মীরা
৫ মার্চ ২০২৩ ১৯:০২
ঢাকা: চাকরিচ্যুত না করা, চাকরি স্থায়ীকরণ ও আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) কর্মীরা।
তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাপেক্সে কাজ করা সত্ত্বেও তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। এখন আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন করে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
বাপেক্সের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, কোনো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে তারা চাকরি করলে বেতন বৈষম্যের শিকার হতে পারেন। তাই এই আউট সোর্সিংয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাদের স্থায়ী করার দাবি।
রাষ্ট্রায়াত্ব তেল গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্সে দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী কর্মীরা কাজ করছেন। এদের কেউ পাঁচ থেকে ১২ বছর কিংবা তারও বেশি সময় ধরে নিয়োগপত্র ছাড়াই কাজ করছেন। রাজস্ব খাত থেকে তাদের মজুরিও দেওয়া হয়। তবে গত জানুয়ারি থেকে অস্থায়ি নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের ছাঁটাই করে আউট সোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে জনবল নিয়োগের কথা জানিয়ে দেয় বাপেক্স।
এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে চাকরি স্থায়ীকরনের দাবিতে নানা প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করছেন কর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচী নিয়েছেন।
আন্দোলনরত কর্মীরা জানান, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।
মেকানিক পদের কর্মী গোলাম রাব্বানী সারাবাংলাকে জানান, আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয় মুখে মুখে। দীর্ঘদিন কাজ করার সত্ত্বেও বেতন ভাতা বৃদ্ধির কোনো বিষয়ে কিছু করে না বাপেক্স। বরং এখন নতুন প্রক্রিয়ায় কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেপেক্সে কর্মরত আরেক কর্মী শাহনাজ বলেন, গত জানুয়ারিতে ঘোষণা দেয় এখন থেকে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে তারা জনবল নেবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি, তাহলে আমাদের কি হবে। যে পদ্ধতিতে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাতে সরকারের বাজেট অনেক কম লাগে। আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ হলে সরকারের আরও অনেক বেশি বাজেটের দরকার হবে। বিষয়টি জানা সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বাপেক্সের চার ক্যাটাগরির পদের কর্মীদের আগের পদ্ধতিতে নিয়োগ বাতিল করে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে এই চার ক্যাটাগরিতে সাড়ে ৩০০ মতো কর্মী রয়েছে।
আন্দোলনরত কর্মীরা জানান, উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা সেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সাড়াদেশে সাড়ে ৩০০ কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়বে।
এর আগে, ৩০ জানুয়ারি বাপেক্স কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন কর্মসূচী পালন করেন তারা। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরও তাদের দাবির কথা লিখে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ