স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ১৩ এপ্রিল
৭ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৩
ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৩ এপ্রিল ধার্য করেছেন
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হননি। এ জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী এই তারিখ ধার্য করেন।
এখন পর্যন্ত মামলাটির চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন আদালত।
মামলার অপর পাঁচ আসামিরা হলেন- রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ( হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম। মামলাটিতের আসামিদের মধ্যে সাহেদ কারাগারে আছেন। অপর পাঁচ আসামি জামিনে আছেন।
২০২২ সালের ১২ জুন ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী সম্প্রতি ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখান থেকে তারা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন।
এ ছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মরকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বমোট তিন কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
সারাবাংলা/এআই/ইআ