গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৭, পরিচয় মিলেছে ৮ জনের
৭ মার্চ ২০২৩ ২২:৫৬ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ১৫:৫৯
ঢাকা: রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের একটি ভবনে বিস্ফোরণে ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। এদের মধ্যে অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে।
এদিকে, নিহতদের মধ্যে আটজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি ৯ জনের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে দুইজন নারী। বাকি ছয়জন পুরুষ।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের একাধিক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহতদের মাঝে পরিচয় শনাক্ত হওয়া আটজন হলেন- পুরান ঢাকার মো. মোমিনের ছেলে মো. সুমন (২১), যাত্রাবাড়ীর মোশারফ হোসাইনের ছেলে মনসুর হোসাইন (৪০), চাঁদপুরের কচুয়ার হেদায়েত উল্লাহর মেয়ে পারভীন (৩১), বরিশালের কাজীরহাটের মৃত দুলাল মৃধার ছেলে ইসহাক মৃধা (৩৫), পুরান ঢাকার বংশালের মৃত মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (৪২), পুরান ঢাকার কেরানীগঞ্জের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাহাত (১৮), চাঁদপুরের মতলবের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আলামিন (২৩), পুরান ঢাকার চকবাজারের আবুল হাশেমের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (৩৮), একই এলাকার মুমিনুল ইসলামের মেয়ে নদী বেগম (৩৬)।
এর আগে, বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ‘ক্যাফে কুইন’ নামে সাততলা ভবনের নিচতলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় পাশাপাশি থাকা চায়না পয়েন্ট নামে আরেকটি পাঁচতলা ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাজমুল হক বলেন, বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৭ জন। এর মাঝে অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে। ১১২ জনের মতো এখানে আহত অবস্থায় এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহতদের অধিকাংশের চেহারা দেখে বিস্ফোরণের ভয়াবহতার ছাপ দেখেছেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে আহত অবস্থায় তিনজনকে আনা হয়। তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সেই তিনজনের চেহারায় আমরা বিস্ফোরণের ভয়াবহতা বুঝতে পেরেছি। তাদের মাঝে একজনকে আইসিইউতে নেওয়ার সময় মারা গেছেন। দুইজন চিকিৎসারত অবস্থায় আমাদের এখানে মারা গেছেন। যারা প্রথমদিকে এসেছেন, অনেকেরই শরীরের বেশির ভাগ অংশ জখম হয়েছে। তাদের মাথা, শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে এটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মোট কতজন হতাহত হয়েছেন তা হিসেব করতে সময় লাগবে। আমাদের এখানে জরুরি সব সুযোগ সুবিধা আছে। আমরা সেটা কাজে লাগাচ্ছি।
সারাবাংলা/এসবি/এনইউ