Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক: মেয়র আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ মার্চ ২০২৩ ২১:১৬

ঢাকা: রাজধানীর অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) গুলশান-২ এর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ৯ ও ১০ মার্চ ‘দুই দিনব্যাপী ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার-২০২৩ শুরু হয়েছে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ফেয়ার চলবে।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। স্যানিটেশন ফেয়ার উদ্বোধন শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং ডিএনসিসি মেয়র প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা নেন।

নিরাপদ ও টেকসই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক ও উন্নত পরিষেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় আধুনিক পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রায় ২৫টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। আধুনিক পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এই মেলায় রয়েছে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমাধান ও পণ্যের ডেমোনেস্ট্রেশন, কস্ট, অপারেশন এবং ম্যানেজমেন্ট। ভবন-ইমারতে কার্যকর সোক ওয়েল, সেপটিক ট্যাংক ব্যবস্থা স্থাপন নিশ্চিত করার জন্য ভবনের মালিকদের অনুরোধ জানানো হয় এই স্যানিটেশন ফেয়ার থেকে। পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা (অনসাইট স্যানিটেশন) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ ভবন, ইমারতে কার্যকর সোক ওয়েল, সেপটিক ট্যাংক ব্যবস্থা স্থাপন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এই আয়োজনের মাধ্যমে। পাশাপাশি নিরাপদে অন-সাইট স্যানিটেশনের জন্য সঠিক, উপযুক্ত সেভ স্যানিটেশন টেকনোলজি ক্রয়ের সুযোগ রয়েছে এই স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ারে।

বিজ্ঞাপন

স্টল পরিদর্শন শেষে অতিথিরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আওতাধীন এলাকায় নিরাপদ ও টেকসই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকায় নিযুক্ত কিংডম অব নেদারল্যান্ডস এর রাষ্ট্রদূত এ্যানে ভ্যান লিউয়েন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, ইউনিসেফ, বাংলাদেশ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট, নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ মামুন এবং বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘গুলশান, বনানী ও বারিধারা অনেকটা ম্যানহাটন শহরের মতোই অভিজাত ও ব্যয়বহুল। কিন্তু এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এসব এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি বানালেও সুয়ারেজের ব্লাক ওয়াটারের সংযোগ আমাদের সারফেস ড্রেনে দিয়ে রেখেছে। অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক। এমনও অনেক বাড়ি আছে দুইটি বা তিনটি বিএমডব্লিউ গাড়ি রয়েছে। কিন্তু অল্প টাকা খরচ করে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করেনি।’

মেয়র বলেন, ‘আমরা চাই একটি সুন্দর শহর, একটি দূষণমুক্ত শহর। আমরা চাই শহরের খালগুলো হবে দূষণমুক্ত। এজন্য আমাদের সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হতে হবে, দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাসা-বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেন (স্ট্রম ড্রেন) অথবা খালে দেওয়া যাবে না। পয়ঃবর্জ্যের লাইন খালে গিয়ে প্রতিনিয়ত খালকে দূষণ করছে। দূষণের ফলে খালে মাছের চাষ না হয়ে সেখানে মশার চাষ হচ্ছে। সেটি আর হতে দেওয়া যাবে না। পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকতা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরএফ/একে

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর