পরিচালন ব্যয় উঠে আসছে, ১৫ মার্চ চালু হচ্ছে আরও ২ স্টেশন
৯ মার্চ ২০২৩ ২৩:৩৫
ঢাকা: গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করে স্বপ্নের মেট্রোরেল। শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত দুই স্টেশনে সরাসরি মেট্রো চললেও এখন আরও তিন স্টেশনে যাত্রা বিরতি করছে। এবার ১৫ মার্চ সেখানে যোগ হচ্ছে আরও ২ স্টেশন।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে যে পরিমাণ যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে, তাতে মেট্রো ব্রেক ইভেন্টে (পরিচালন ব্যয়) চলে আসছে। এই পথে নয়টি স্টেশন চালু হলে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। তখন আর ভর্তুকির দরকার হবে না।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘আসছে জুলাই থেকে মেট্রোরেল পুরোপুরি চালু হবে। অর্থাৎ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা চলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে চলাচল করছে। এতে মেট্রোরেলের আয় হয়েছে ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা দিয়ে মেট্রোরেলের পরিচালন ব্যয় মেটানো সম্ভব।’
এম এ এন ছিদ্দিক জানান, জুলাইয়ে দ্বিতীয় ধাপে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলক রেল চলাচল শুরু হবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে এমআরটি লাইন-৬ এর আওতায় ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার চালু হওয়ার পর থেকে মেট্রোর পরিধি বাড়ছে। প্রথমে উত্তরা থেকে আগারগাঁও চলাচল করলেও পরে চালু করা হয় পল্লবী স্টেশন। এরপর এর সঙ্গে যোগ হয় উত্তরা সেন্টার ও মিরপুর-১০ স্টেশন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই পাঁচটি স্টেশনে নিয়মিত চলছে মেট্রোরেল। মিরপুর-১১ ও কাজিপাড়া স্টেশন আগামী ১৫ মার্চ চালুর কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার নির্মাণের কথা ছিল। পরে সংশোধন করে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়ানো হয়। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্থাপনে চলমান এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর পর কমলাপুর পর্যন্ত যুক্ত হওয়ায় এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। এরমধ্যে জাইকা ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা দিচ্ছে। আর সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম