Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চলে যান, ৫০ বছর পর আবার দেখা হবে- আওয়ামী লীগকে খসরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১১ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগকে গুম-খুনের মামলার ‘ভয় দেখিয়ে’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বুঝিয়া করিও কাজ, বুঝিয়া ভাবিও না। আর করিয়া ভাইবা (ভেবে) নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। বাংলাদেশের মানুষকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে চলে যান, ৫০ বছর পর আবার দেখা হবে।’

শনিবার (১১ মার্চ) সকালে নগরীর কাজির দেউড়ির নসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনসহ বিগত সময়ের যেসব মামলা আওয়ামী লীগ খারিজ করে দিয়েছে আর গত ১৪ বছরের গুম-খুনের ঘটনার সব মামলা যদি একত্রিত করা হয়, তাহলে সবাইকে জেলে যেতে হবে। সবাইকে বিচারের আওতায় আসতে হবে, কেউ ছাড় পাবে না। তখন আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে একটি আসনেও প্রতিদ্বন্দিতা করার মতো প্রার্থী খুঁজে পাবে না।’

বাংলাদেশের জনগণ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে দিন পার করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে, পথে, মাঠে, সমাবেশে সবখানে আজ একটাই প্রশ্ন- এই ফ্যাসিস্টকে কবে বিদায় দেবেন ? মানুষের হাহাকার- আমরা নিঃশ্বাস ফেলতে পারছি না, আরও কিছুদিন এ অবৈধ সরকার যদি থাকে আমরা কেউ বাঁচব না। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় এক একটি দিন অতিবাহিত করছি। আমাদের মুক্তি দিন। দেশকে মুক্ত করুন। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের বার্তা। এটা পরিষ্কারভাবে জনগণের সিদ্ধান্ত এবং তারা এটি অতিসত্ত্বর দেখতে চায়।’

বিজ্ঞাপন

‘ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন, ভীত হয়ে আওয়ামী লীগ কিছু কিছু কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে পঞ্চগড়ে আহমদিয়াদের ওপর তাদের লোক দিয়ে হামলা চালিয়েছে আর তাদের দলীয় পুলিশ পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করেছে। তারা আহমদিয়াদের সেদিন রক্ষা করেনি। পঞ্চগড়ের মতো নাটক সারা বাংলাদেশে হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দৈন্যদশায় ভুগছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই যে বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণগুলো হচ্ছে, এগুলোকেও আওয়ামী লীগ রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। দেশ পরিচালনাতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার রাজনীতি করছে। এরশাদের পতনের সময় মন্দিরে মন্দিরে আক্রমণ হয়েছিল। স্বৈরাচার যখন পতনের অবস্থানে চলে যায়, তারা তখন এ ধরণের কর্মকাণ্ড করে। তারা সামনে আরো করবে। কারণ আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। বাংলাদেশের মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা জনগণকে বাইরে রেখে অন্য খেলাধুলায় নেমেছে।’

‘ভোটচোরদের’ তালিকা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দিকে। দৃষ্টি হচ্ছে মানবাধিকারের দিকে, এদেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচারের দিকে, বাক স্বাধীনতার পক্ষে, মানুষের জীবনের নিরাপত্তার দিকে। আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে এ সমস্ত কাজ করে দুই-তিনমাস টিকে থাকতে পারবে। যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভোট চুরিতে লিপ্ত সবার তালিকা করা হচ্ছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোট চুরির সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে। আর দেশের ভেতর তাদের বিচার হবে।’

নগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন- নগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক জাহিদুল করিম কচি ও সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নসরুল কদির, জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ঢালী।

এ ছাড়া নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, নগর শ্রমিক দলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, কৃষক দলের আহবায়ক মো. আলমগীর ও সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক এবং জাসাসের সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন বক্তব্য দেন।

সারাবাংলা/আইসি/ইআ

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর