‘গণ-দুশমন সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না’
১১ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫৪
ঢাকা: গণফোরামের (একাংশ) চেয়ারম্যান মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, ‘মহা দুর্নীতিবাজ সরকারের কর্ণকুহরে জনগণের আহাজারী পৌঁছায় না। কারণ, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। তাই এই গণ-দুশমন সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, চাল, ডাল, তেল এবং কৃষি ও শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ মানববন্ধন আয়োজন করে গণফোরাম।
মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ সরকারের মতো বাংলাদেশের ইতিহাসে এত লুটপাট কখনও হয়নি। সমগ্র জাতি এই সরকারকে নিয়ে এক মহাসংকটে আছে। অনির্বাচিত-অবৈধ এই সরকারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগের কোনো নৈতিক এখতিয়ার নেই। তারা লুটপাট করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। এমন কোনো ব্যাংক নেই যেখানে ঋণখেলাপি নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুটপাট করেছে, সাধারণ মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে ভয় পাচ্ছে। রিজার্ভ লুটপাট করে ধ্বংস করে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির নামে অসম চুক্তির মাধ্যমে জনগণের টাকা তছরুপ করছে এই সরকার। আদানির সঙ্গে করা চুক্তি অবিলম্বে চুক্তি বাতিল করতে হবে।
দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে অভিযোগ করে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘এলিফ্যান্ট রোড, নিউ মার্কেটসহ সারাদেশের ব্যাবসায়ীরা বলছে কোনো ব্যাবসা নেই। সারাদিন বসে থেকে যে বিদ্যুৎ খরচ হয়, সে পয়সাও বিক্রি করা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে, সুন্দর গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে এই গণবিরোধী স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। বাংলাদেশকে সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিকাশিত করতে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে এই আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলছে চলবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায় তখন জনগণ বাধ্য হয়ে রাজপথকেই বেছে নেয়। আর জনগণ যখন রাজপথ বেছে নেয় তখন কোনো কর্তৃত্বাবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না।’
মানবন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, সভাপতি মন্ডলির সদস্য আবদুল হাসিব চৌধুরী, খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক নিলুফার আহমেদ শাপলা, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম.এ কাদের মার্শাল, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ জাহান সুমন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এজেড/ইআ