প্রবাসীকে খুনের পর মাটিচাপা, স্ত্রীর তথ্যে মিলল লাশ
১৪ মার্চ ২০২৩ ১৮:২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নিখোঁজের ১২দিন পর পাহাড়ে মাটি খুঁড়ে এক প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে খুন করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালিকার তথ্যের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির উদ্ধার করা হয়েছে, যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের ধারণা।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের পহরচান্দা এলাকার একটি টিলাকৃতির পাহাড় থেকে তার প্রায় গলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়। মৃত মনছুর আলীর (২৭) বাড়ি উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের পূর্ব পহরচান্দা গ্রামের সেকান্দর পাড়ায়। তার শ্বশুড়বাড়িও একই গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, দুবাই প্রবাসী মনছুর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন। ২ মার্চ সন্ধ্যায় তাকে চার-পাঁচজন লোক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে মনছুরের বোন মামলা দায়ের করেছিলেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ মনছুরের সঙ্গে তার শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বিরোধের তথ্য পায়। নিখোঁজের আগে টেলিফোনের কথোপথনের সূত্র ধরে মনছুরের স্ত্রী রিনা আক্তার, শাশুড়ি ছায়েরা খাতুন ও ১৬ বছর বয়েসী কিশোরী শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এরপর তাদের দেওয়া তথ্যে মনছুরের বাড়ি থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ দূরে পাহাড়ে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে তাদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় মনছুরের লাশ পাওয়া যায়। তার বড় ভাই খোরশেদ আলম গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত মনছুরের শরীরে বেশকিছু জখমের চিহ্ন আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মাথার ডানপাশে বড় ধরনের কাটা চিহ্ন, দুই কান, নাক ও থুতনি শরীর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, মনছুরের সঙ্গে তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরোধ চলছিল। আর্থিক লেনদেন, অনৈতিক সম্পর্ক ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে তাকে খুন করা হতে পারে।’
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মনছুরের স্ত্রী, শ্বাশুড়ি ও শ্যালিকাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কেউ ঘটনায় জড়িত কি না সেটা বের করে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানান ওসি আতিকুর রহমান।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম