নতুন করে বিদেশি শ্রমিক নেবে না মালয়েশিয়া
১৮ মার্চ ২০২৩ ২১:৫৮
ঢাকা: তিন বছরেরও বেশি সময় পর শুরু হওয়ার বছর না ঘুরতেই আবারও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হলো। তবে এ স্থগিতাদেশ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, অন্য জনশক্তি রফতানিকারক দেশের জন্যও। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমার শনিবার (১৮ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু জনশক্তি রফতানির উদ্দেশ্যেই সাময়িকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়া তাদের নিজস্ব উন্নয়নসহ নানাখাতে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। সে ধারাবাহিকতায় এবার গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬টি কর্মসংস্থান কোটা মন্ত্রণালয় অনুমোদন করে।
এরপর শনিবার (১৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমা জানান, ফরেন ওয়ার্কার এমপ্লয়মেন্ট রিল্যাক্সেশন প্ল্যানে (পিকেপিপিএ) বিদেশি কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন ও অনুমোদন ১৮ মার্চ থাকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।
তিনি বলেছেন, প্রথম ধাপে ৯ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৬ জন শ্রমিককে মালয়েশিয়ায় কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নিয়োগকর্তারা যেন সুষ্ঠুভাবে এ সব শ্রমিক নিয়ে আসতে পারেন সে জন্য সাময়িকভাবে অনুমোদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
পিকেপিপিএর মাধ্যমে উৎপাদন, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, কৃষি এবং পরিষেবাখাতে কোটা অনুমোদনের সংখ্যা বিবেচনায় নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত বিদেশি শ্রমিকদের জন্য যে সংখ্যক কোটা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ খাতসহ শিল্প কারখানায় এ সব কর্মী দিয়ে শ্রম চাহিদা মেটানো সক্ষম বলে আশা প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি আর অনিয়মের কারণে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে দুইবার কর্মী নেওয়া বন্ধ করে। সবশেষ ২০১৮ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের চালু করতে আলোচনা শুরু হয় ২০২২ সালে।
ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর দেশটির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছিল সরকার। নানা জটিলতায় ফের প্রায় আটকেই যাচ্ছিল দেশটির শ্রমবাজার। এরপর চিঠি চালাচালি আর দফায় দফায় বৈঠকের পর গেল বছরের ৮ আগস্ট থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়।
গত ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে মোট ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ জন কর্মী মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন পান।
সারাবাংলা/জেআর/একে