Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ মার্চ ২০২৩ ১৫:৩৬

ঢাকা: দেশে কিশোর গ্যাংদের উৎপাত বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘করোনাকালে স্কুল-কলেজ সবকিছুই সীমিত আকারে চলছিল। সেই সময় আমরা কিশোর গ্যাংদের উত্থান লক্ষ করি। যেটি একটি ভয়ংকর ব্যাপার। তাই এ ব্যাপারে র‌্যাবসহ সবাইকে বলিষ্ট ভূমিকা নিতে হবে।’

রোববার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদর দফতরে বাহিনীটির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমরা সরকার গঠন করার পর থেকেই জঙ্গিবাদকে জিরো টলারেন্স হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। কারণ ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে এদেশকে জঙ্গিবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল।’

‘জঙ্গিবাদ কখনও কোনো দেশের উন্নতি করতে পারে না। কাজেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।‘ তাই জঙ্গি দমনে র‌্যাবের বলিষ্ঠ ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, করোনাকালে স্কুল-কলেজ সবকিছুই সীমিত আকারে চলছিল। সেই সময় আমরা লক্ষ্য করি এই কিশোর গ্যাংদের উত্থান। যেটি একটি ভয়ংকর ব্যাপার। সেই সঙ্গে আমরা জঙ্গি দমন করেছিলাম। জঙ্গিরা যে কয়টি ঘটনা ঘটাতে গিয়েছে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে হলি আর্টিজানে হামলা ছাড়া আর তেমন কোনো ঘটনা ঘটাতে পারেনি।’ তাই আইনশৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘এখনও দেখা যায়, কিছু কিছু ছেলেপেলেদের উসকানি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আরেকটি জিনিস দেখা যাচ্ছে কিশোর গ্যাংদের উত্থান। এক্ষেত্রে র‌্যাব বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়ে যাচ্ছে।’

মাদকের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছি, উন্নত হচ্ছি। আবার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে মাদকের প্রভাব অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। ধনীক শ্রেণি থেকে একেবারে নিম্ন শ্রেণি পর্যন্ত মাদক বিস্তৃত। কোনো পরিবারে কেউ যদি মাদকাসক্ত থাকে তাহলে সেই পরিবারে কষ্টের সীমা থাকে না। এমনকি মাদকাসক্ত সন্তানও বাবা-মাকে হত্যা করে। মাদকের বিরুদ্ধে র‌্যাব অভিযান চালাচ্ছে, এটিকে সামাজিক একটি আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে সবাইকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে।’

নিজের সন্তানরা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ অনুপস্থিত কি না সে বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখা ও তাদের বিপদ থেকে ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই কাজটি মনোযোগ দিয়ে করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে রমজান মাস। আমাদের দেশে অদ্ভূত ব্যাপার হচ্ছে, রমজান মাস এলেই কিছু মানুষের অতিরিক্ত মুনাফা করার অভিলাষ দেখা যা। অথচ রমজান মাস কৃচ্ছ্রতাসাধনের মাস। রমজানে সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।’

পাশাপাশি খাদ্যে ভেজাল প্রদান, ভেজাল প্রসাধন সামগ্রী থেকে শুরু করে নকল খাবার তৈরির বিরুদ্ধে সফলভাবে অভিযান পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বক্তব্য দেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে র‌্যাবের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়।

সারাবাংলা/এনআর/একে

কিশোর গ্যাং প্রধানমন্ত্রী র‍্যাব শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর