Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাবি ছাত্রীদের মুখমণ্ডল খোলা রাখার বিজ্ঞপ্তি হাইকোর্টে স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ মার্চ ২০২৩ ১৪:৩২

হাইকোর্ট

ঢাকা: পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশনের সময় শিক্ষার্থীর (ছাত্রীদের) পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখ দৃশ্যমান রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে ওই বিজ্ঞপ্তি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে, ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশনের সময় ছাত্রীদের কানসহ মুখমণ্ডল খোলা রাখার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ।

এরপর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাবির তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে ওই বিজ্ঞপ্তি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ঢাবির বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, ‘বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়: “১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর