‘আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দিয়েছে’
১ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:২১
ঢাকা: গণফোরাম সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল এক ঘটনা সৃষ্টি করেছে মধ্যরাতের ভোটের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। বাংলাদেশের মানুষ ৭০ এর নির্বাচনে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সেটি ছিল সমস্ত বঞ্চনা, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন রুখে দিয়ে বাকস্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই। যা ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্তম্ভ। আজকের দিনে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তাই সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করতে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম রাজপথে অব্যহত থাকবে।
বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আজ শনিবার বিকেলে গণফোরাম চত্বরে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে মোস্তফা মোহসীন মন্টু এ সব কথা বলেন। গণঅবস্থান কর্মসুচিতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টি অংশগ্রহণ করে।
মন্টু বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য টিসিবির গাড়ি যখন রাস্তায় আসে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রয় করতে আধা ঘণ্টার মধ্যে টিসিবির গাড়ি খালি হয়ে যায়। মানুষ টিসিবির গাড়ির পিছনে ছুটে, কোথায় গাড়ি আর কোথায় মানুষ? তার কোনো হদিস থাকে না!’
গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘রুচির সংকট তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। রুচির সংকট কোথায় হয়েছে দেখছেন না, সংকট হয়েছে আপনাদের মধ্যে, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জন করা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে দালালে ভরপুর করে রেখেছেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে প্রথম আলোকে কটাক্ষ করে বিবৃতি দিয়ে রুচির সংকট সৃষ্টি করেছে। রুচির সংকট হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট জোর করে দখল করা, প্রেস ক্লাব দখল করা। রুচির সংকট হচ্ছে আপনারা যারা পদ-পদবি, পদায়ন এবং পদকের জন্য বিকৃতভাবে ক্ষমতাসীনদের আশে পাশে ঘুরে বেড়ানো। আপনারা নির্লজ্জ, লজ্জা সরমের বালাই নেই, আপনারা নাগরিকদের তুলে নিয়ে গুম করেন, খুন করেন। বিরোধী দলের শত শত নেতাকর্মীদের বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ডের মাধ্যমে এদেশের গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছেন। আমরা দেখেছি সরকারি অফিসের কর্মচারী জেসমিন সুলতানাকে তুলে নিয়ে র্যাব হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে। রুচির সংকট এদেশে সৃষ্টি করেছে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা আওয়ামী লীগ সরকার।’
কর্মসুচিতে আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ. কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, সভাপতি পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা হাসান, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু প্রমুখ।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে