ইভিএম বাদ দিয়ে বিএনপির দাবি মেনে নিয়েছে ইসি: তথ্যমন্ত্রী
৫ এপ্রিল ২০২৩ ২০:১৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালট পেপারে সংসদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দাবি মেনে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন’র বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী একথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৩০০ আসনেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নেয়ার ঘোষণা দিলে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিরোধিতায় নামে। এ অবস্থায় সোমবার (০৩ এপ্রিল) বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ১৭ তম সভায় ৩০০ আসনে ব্যালটে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়।
নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ইভিএমের মাধ্যমে ভোটে যাবে না বলেছিল। নির্বাচন কমিশন অনেকটা তাদের দাবি মেনে নিয়েই ইভিএম থেকে সরে প্রিন্ট ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দাবিটাই মেনে নেয়া হয়েছে বলা যায়। সুতরাং এখন নির্বাচনের জন্য যদি তাদের দল গোছায় এবং নির্বাচনে আসে সেটি তাদের জন্য মঙ্গল হবে।’
ব্যালটে নির্বাচনেও বিএনপির আগ্রহ নেই, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাাচন-ভীতিতে পেয়ে বসেছে। সেজন্য ছাপানো ব্যালটেও তাদের না, আবার ইভিএমেও না। বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের নিজেদের ওপরই কোন আস্থা নেই। বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে, সেটা তারা জানে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরে দেশে বিশৃঙ্খলা করা যায় কি না সেই চেষ্টা করছে। বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম এবং তালেবানদের সঙ্গে ঐক্য করে আসন পেয়েছিল মাত্র ছয়টি। পরে আরেকটি সংরক্ষিত আসনসহ মোট সাতটি। তারা জানে, এই নির্বাচনেও তাদের কোন সম্ভাবনা নেই। সেজন্যই নির্বাচন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর বিএনপি ও তাদের মিত্রদের কোন আস্থা নেই।’
সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আমাদের সরকার ১৪০ একর জমি বরাদ্দ করেছে। এদেশে আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের কাছ থেকে এতো বেশি সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চট্টগ্রামে একটি মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য তারা সরকারের কাছে আরও জমি বরাদ্দের আবেদন করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
নগরীর দামপাড়া এম এম আলী রোডের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত বিশেষ সমাবর্তনে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলসের চেয়ারম্যান প্রফেসর এন্ড্রে সেনকেনকে সম্মানসুচক ডক্টরেট ডিগ্রী দেয়া হয়। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন’র ডিন ডেভিট টেইলর বীনাকোনার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর কামাল আহমেদ, বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর রুবানা হক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ