স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট এগ্রিকালচারের বিকল্প নেই
১২ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৩০
ঢাকা: স্মার্ট এগ্রিকালচারের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কৃষিবিষয়ক আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত শিক্ষা কার্যক্রমে প্রবর্তনে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং টেকসই ও লাভজনক কৃষি ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের উপর জোরোরোপ করেছেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর রেনেসাঁ হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রচলিত কৃষি ব্যবস্থাকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর: ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন ডব্লিউএফপি বাংলাদেশ’র আবাসিক প্রতিনিধি ডমিনিকো স্কেলপেলি।
ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, ‘আমাদের কৃষি ও এগ্রো-প্রসেসিং খাতের আকার প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রায় ১৫৪টি দেশে ৭০০ কৃষিপণ্য রফতানি হয়ে থাকে। জিডিপিতে আমাদের অ্যাগ্রো ও ফুড প্রসেসিং খাতের অবদান প্রায় দশমিক ২২ শতাংশ এবং আমাদের কৃষি পণ্যের ভ্যালু এডিশন, পণ্য বহুমুখীকরণ, আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার, দক্ষতার স্বল্পতা এবং খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণ প্রভৃতি প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।’ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সামঞ্জ্যতা বজায়ে রাখতে ন্যানো টেকনোলোজি, নতুন নতুন কৃষি মেশিনারীজ ব্যবহারের উপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী স্মার্ট এগ্রিকালচারকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। অর্থনীতির উন্নয়নের অন্যতম খাত হলো কৃষি খাত, যেটি জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখার পাশাপাশি ৩৮ শতাংশ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে এবং শিল্প খাতের কাঁচামাল সরবরাহ করে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষি খাতে সরকারের ভর্তুকি জিডিপির প্রায় ২ শতাংশ। সামাজিক সকল সূচকে আমরা ক্রমাগত ভালো করছি। এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সাতটিই কৃষির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই কৃষি খাতের সার্বিক উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম